এইদিন আন্তর্জাতিক ডেস্ক,০৭ অক্টোবর : বাংলাদেশের নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরের বসুন্ধরা মোড়ে নিজ দোকানের ভিতরে নারায়ণ চন্দ্র পাল (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে শ্বাসনালী কেটে খুনের ঘটনা ঘটেছে।সোমবার (৬ অক্টোবর ২০২৫) কোজাগরী লক্ষ্মীপুজার রাত প্রায় ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বসুন্ধরা মোড়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত নারায়ন চন্দ্র পাল বসুন্ধরা মোড়ে মুদি দোকান পরিচালনা করতেন । নিহত নারায়ণ পাল পৌরশহরের রাউতপাড়া এলাকার নৃপেন্দ্র পালের ছেলে এবং থানার মোড়ে ‘নারায়ণ স্টোর’ নামে একটি মুদি দোকান পরিচালনা করতেন।
জানা গেছে,অনেক রাত পর্যন্ত দীর্ঘ ওই দোকানে কেউ ঢুকছে না, বা বের হচ্ছে না দেখে লোকজন খোঁজ নিতে গেলে দোকানের ভেতরে নারায়ণের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন । খবর পেয়ে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় । এই নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয় হিন্দুদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহনগঞ্জ থানার মাত্র ১৫০ গজ দূরে ছিল নারায়ণ পালের দোকানটি। সোমবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এক ক্রেতা পণ্য কিনতে গিয়ে দোকানের ভেতরে নারায়ণ পালের গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। মুহূর্তেই খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকান ও ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। নিহত ব্যবসায়ীর দোকানের ভেতরেই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, যা পুরো এলাকাকে আতঙ্কের মধ্যে ফেলেছে।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন,’মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করা হয়েছে। দোকানের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবদিক বিবেচনা করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনায় দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন— থানার এত কাছে কীভাবে এমন ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে? স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা দ্রুত দোষীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। পৌরশহরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, থানার নিকটবর্তী স্থানে এমন হত্যাকাণ্ড প্রশাসনের নজরদারির ঘাটতির ইঙ্গিত দেয়। তাঁরা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন।।