এইদিন ওয়েবডেস্ক,বরগুনা,০৭ নভেম্বর : পরপর ২ বার গনধর্ষণের পর মামলা করে সপরিবারে বাড়ি ছাড়া বাংলাদেশের বরগুনার হিন্দু গৃহবধূ (৩৮)। আসামি সাইফুল ইসলাম হাওলাদার (২৫) ও ইমরান হাওলাদার (৩০)সহ ৩ ধর্ষকদের পরিবারের হুমকির জেরে তারা আশ্রয় নিয়েছেন নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে।শিশু- কিশোর বয়সী দুই ছেলে নিয়ে ওই নারীর স্বামীও বাড়িতে যেতে ভয় পাচ্ছেন। শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মামলা করলে ইমরান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই আসামিও বুধবার জামিনে ছাড়া পেয়েছে। এ কারণে পরিবারটি নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছে।
আমতলী সদরের প্রায় ৮-১০ কিলোমিটার দূরে হলদিয়া ইউনিয়নের ওই গ্রামটি। বুধবার বিকেলে ভাঙাচোরা রাস্তাঘাট মাড়িয়ে সেখানে পৌঁছে গৃহবধূর ওপর চালানো নির্যাতনের বিভীষিকাময় বর্ণনা পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীর স্বামী পেশায় কৃষক। এ দম্পতির শিশু-কিশোর বয়সী দুটি ছেলে রয়েছে। ওই নারীর ওপর নির্যাতন চালানো মুসলিম যুবকেরা একই গ্রামের বাসিন্দা ।
প্রথম দফায় ২৩ অক্টোবর বিকেলে নিজ বাড়িতে গনধর্ষণের শিকার হন ওই গৃহবধূ। সেদিন তাঁর স্বামীর সঙ্গে ছেলেরা বাজারে গিয়েছিল। আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া ভুক্তভোগী বলেন, ‘বাড়িতে আমাকে একা পেয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে সাইফুল ও ইমরান। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নির্যাতন চালায়। তাদের ভয়ে ও লোকলজ্জায় কাউকে এ ঘটনা জানাইনি।’
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে, সাইফুল ইসলাম হাওলাদার (২৫) ওই গ্রামেরই নজরুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে। অপর যুবক মহম্মদ ইমরান হাওলাদার (৩০) শহিদ হাওলাদারের ছেলে। এর আগেও ওই দুই নরপশুর বিরুদ্ধে গনধর্ষণের একাধিক অভিযোগ উঠেছিল । ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে দুই নরপশু যুবকের পরিবারের সদস্যরাও । এই মামলাটি তদন্ত করছেন আমতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহম্মদ সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, মামলার পর ইমরান ও ইমরাজকে গ্রেপ্তার করে তারা জেলহাজতে পাঠান। অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে। তবে বুধবার ইমরান জামিনে ছাড়া পেয়েছে বলে শুনেছেন। একই থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, আসামিপক্ষের স্বজনেরা ওই পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে বলে তাঁর জানা নেই। এ বিষয়ে তাদের কাছে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।।

