এইদিন ওয়েবডেস্ক,দত্তপুকুর(উত্তর ২৪ পরগনা),২৮ আগস্ট : উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে উদ্ধার হল মুণ্ডহীন দেহ । বিস্ফোরণস্থলের ঠিক পিছনে আজ সোমবার সকালে ওই দেহটি উদ্ধার হয় । ঘটনাস্থলের অদূরে রবিবার একটি ছিন্ন মুণ্ড উদ্ধার হয়েছিল । অনুমান করা হচ্ছে বিস্ফোরণের অভিঘাতেই ওই মুণ্ডটি উদ্ধার হওয়া দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল । এছাড়া বিস্ফোরণস্থলের ৫০ থেকে ২০০ মিটারের মধ্যে আশপাশের ঝোপজঙ্গলে পড়ে থাকতে দেখা গেছে হাতের পাঞ্জা,বিচ্ছিন্ন পাসহ দেহাংশ ।
এদিকে রবিবার ভোর রাতে মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় কেরামত আলির সহযোগী শফিক আলিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ । কেরামতের বেআইনি বাজি কারখানায় শফিকের অংশ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে । বাজি কারখানার বিস্ফোরণে কেরামতও প্রাণ হারিয়েছে বলে সন্দেহ ।পাশাপাশি প্রায় ২০০ কেজি শব্দবাজি সহ বাজি তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।
এদিকে অবৈধ বাজি ব্যবসার সঙ্গে ২০১৬ সালে পিংলায় বিস্ফোরণে মূল হোতা জেরাত আলির যোগসূত্র পেয়েছে পুলিশ । সুতি ব্লকের জগতাই-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার নতুন চাঁদরা গ্রামের বাসিন্দা জেরাত আলির বাড়ির সামনে আজ থেকে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে । তবে ওই বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই থাকে না জেরাত ও তার পরিবার ।
এখনও পর্যন্ত এই বিস্ফোরণকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ৯। আহত কমপক্ষে দশ জন । নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা । পুলিশ সূত্রে খবর এখনো মান্নান শেখ, আন্দাজ শেখ ও রনি শেখ, হাবিব শেখের দেহ চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে । বাকিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ,স্থানীয়দের আপত্তি সত্ত্বেও একপ্রকার গায়ের জোরেই এই ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছিল কেরামত আলি । গভীর রাতে আসত নীল, সাদা ড্রাম ভর্তি বাজি তৈরির বিস্ফোরক । দত্তপুকুর থানার পুলিশ, পঞ্চায়েত প্রধান,এমনকি স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষ এই বেআইনি কারবারের বিষয়ে সবকিছু জানতো বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । পুলিশের বিরুদ্ধে তারা আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ পর্যন্ত তুলেছেন । এই বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ কে দিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ।।