এইদিন ওয়েবডেস্ক,০১ মে : ১৮ বছর বয়সী একজন পনবন্দি ইসরায়েলি তরুনীকে বিয়ের প্রস্তাব দিল হামাস সন্ত্রাসী । সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ওই সন্ত্রাসবাদী তরনীকে একটা আঙটি পরিয়ে দিয়ে তার সঙ্গে নিকাহ করার প্রস্তাব দিয়েছে । ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হামাস গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে নজিরবিহীন আক্রমণ করে আড়াইশোর অধিক মানুষকে পনবন্দি করে গাজায় নিয়ে যায় । বন্দিদের দলে ছিলেন নোগা ওয়েইস নামে ওই তরুনীও । ইসরায়েলের কিবুতজ বেইরিতে বাড়ি থেকে তাকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা । তারপর তিনি দীর্ঘ ৫০ দিন ধরে হামাসের হাতে বন্দি ছিলেন । সৌভাগ্যক্রমে গত বছর একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তিনি মুক্তি পান।
টাইমস অফ ইজরায়েলের সাথে কথা বলার সময় নোগা ওয়েইস জানিয়েছেন, অপহরণকারী তাকে বিয়ে করতে এবং তার সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল । নোগা বলেন,’অপহরণের ১৪ তম দিনে ওই সন্ত্রাসবাদী বন্দী অবস্থায় আমাকে একটি আংটি দিয়েছিল এবং আমি ৫০ তম দিন পর্যন্ত তার সাথে ছিলাম ।সে আমাকে বলেছিল যে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তুমি এখানে আমার সাথে থাকবে এবং আমার সন্তানের জন্ম দেবে । আমি হাসির ভান করেছি যাতে সে আমার মাথায় গুলি না করে ।’
যাইহোক, নোগার মা শিরি, যাকেও ৭ অক্টোবর গ্রুপ দ্বারা অপহরণ করা হয়েছিল, তিনি প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন এবং যতক্ষণ না সে বুঝতে পারে ততক্ষণ পর্যন্ত সন্ত্রাসীর দিকে চিৎকার করে তার প্রস্তাব প্রত্যাখানের কথা বলেছিলেন ।
হামাস সন্ত্রাসীরা যেদিন হামলা চালায় সেদিন নোগা কিবুতজ বেরির বাড়িতে তার বাবা-মায়ের সাথে ছিলেন।তার ৫৬ বছর বয়সী বাবা ইলান কিবুটজ ইমার্জেন্সি স্কোয়াডে যোগ দেওয়ার জন্য সকাল ৭:১৫ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তবে তারপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি । এদিকে বন্ধুদের সাথে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে সন্ত্রাসী হামলার কথা জানতে পারেন নোগা ওয়েইস । বন্ধুরা তাকে পরামর্শ দিয়েছিল খাটের নিচে লুকিয়ে পড়ার জন্য । কিন্তু সন্ত্রাসীরা তাকে সেখান থেকে টেনে বের করে নিয়ে যায় । তখন তিনি জানতে পারেননি তার মায়ের কি পরিনতি হল । যদিও গাজায় বন্দি অবস্থায় মায়ের দেখা পান তিনি ।।