এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৬ আগস্ট : আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তরুনী চিকিৎসক ‘তিলোত্তমা’র ধর্ষণ বা গনধর্ষণের পর নৃশংস বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনার স্মৃতি এখনো টাটকা । ন্যায়বিচারের দাবিতে গোটা রাজ্য এখনো উত্তাল । এর মাঝেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ঘটে চলেছে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা । আজ শুক্রবার একটা ন্যাক্কারজনক ঘটনার স্বাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া থানার আলমপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা । সাড়ে চার বছরের এক শিশুকে ভুট্টার লোভ দেখিয়ে ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে পেশায় ভুট্টা বিক্রেতা চরণ মাঝি নামে ৩৬ বছরের এক বিবাহিত যুবক । একই পাড়ায় থাকার সুবাদে শিশুটি তাকে ‘দাদু’ সম্বোধন করত । আর তার সেই সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে এই প্রকার ঘৃণ্য বর্বরোচিত কান্ড ঘটিয়েছে ওই নরপশু । শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে এসে ঘটনার কথা জানালে তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । এদিকে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে দেখেই এলাকা থেকে উধাও হয়ে যায় ধর্ষক চরণ মাঝি । শিশুটিকে অপারেশন থিয়েটারে রেখে চিকিৎসা চলছে । এদিন দুপুর পর্যন্ত শিশুটির রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়নি বলে জানা গেছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,আলমপুর পঞ্চায়েত এলাকার একটি গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা শিশুটির বাবা কলকাতায় একটি মিষ্টির দোকানে কাজ করেন। বাড়িতে রয়েছেন মা, আড়াই বছরের ভাই,দাদু ও ঠাকুমা । অন্যদিকে অভিযুক্তের চরণ মাঝির বাড়ি কাটোয়ার বিকেহাট এলাকায় । সে বিবাহিত এবং দু’বার বিয়ে করেছে । তার বর্তমান স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা । নির্যাতিতা শিশুর গ্রামে চরণের দিদির বাড়ি । সেই সুবাদে সে বছর খানেক আগে স্ত্রীকে নিয়ে দিদির গ্রামে একটা ঘরভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে । পঞ্চাননতলা হাইস্কুলের সামনে ঠেলা গাড়িতে ভুট্টা পুড়িয়ে বিক্রি করত চরণ ।
প্রতিদিনের মত আজও ভুট্টা বিক্রি করতে যায় চরণ ।সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ শিশুটি কাছে ভুট্টা কিনতে গিয়েছিল। তখনই নরপশু চরণ তাকে ভুট্টা দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে যায় । চরণের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বাড়ির একটি ঘরে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তাই বিষয় তার নজরে পড়েনি । সেই সুযোগে সে শিশুটিকে লালসার শিকার বানায় । সকালেই শিশুটির ঠাকুমা মাঠে জনমজুরের কাজে গিয়েছিলেন । এদিকে মেয়েটি অনেক্ষণ ধরে বাড়ি ফিরছে না দেখে তার মা ও দাদু খোঁজ শুরু করে । সেই সময় তারা শিশুটিকে চরণের বাড়ি থেকে টলতে টলতে বেড়িয়ে আসতে দেখেন । প্রবল রক্তক্ষরণে শিশুটির পোশাক ভিজে যায় । দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । যদিও পরিবারের লোকজন শিশুটির চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি । তবে পুলিশের কানে খবর গেছে এবং অভিযুক্ত যুবকের সন্ধান চালাতে শুরু করেছে ।।