এইদিন ওয়েবডেস্ক,মোরাদাবাদ,২৩ সেপ্টেম্বর : মানুষ ক্রমশ কি পশুর চেয়ে অধম হয়ে যাচ্ছে ? এই প্রশ্নই এখন উঠছে উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদে একটি লজ্জাজনক ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর । স্ত্রীকে তিন তালাক দেওয়ার পর ৬ সন্তানের বাবা নিজের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ভয় দেখিয়ে লালসার শিকার বানাচ্ছিল । মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার কথা কিশোরী ফোনে তার মাকে ঘটনার কথা জানালে অবশেষে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় । কিশোরী পুলিশকে জানিয়েছে যে বিগত তিন মাস ধরে তার বাবার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে ৷ বর্তমানে সে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা । গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) ভুক্তভোগী তার মায়ের সাথে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিল ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত শনিবার, তার বাবা ঘুমাতে যাওয়ার পর, নির্যাতিতা তার মাকে ফোন করে তার উপর অমানবিক আচরণের বিস্তারিত বর্ণনা দেন। তার মাকে আরও জানায় যে তিনি বর্তমানে গর্ভবতী। এরপর, রবিবার, ভুক্তভোগী তার মায়ের সাথে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে যায় ।
এর আগে স্ত্রীকে দুবার তিন তালাক দেয় কিশোরীর বাবা । মেয়েকে নির্যাতন করার আগে, অভিযুক্ত তার স্ত্রীকে তিন তালাক দেয় এবং তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় । ভুক্তভোগীর মা পুলিশকে জানিয়েছেন যে তার স্বামী তাকে প্রতিদিন মারধর করত । কিছুদিন আগে তার স্বামী তাকে প্রথমবারের মতো তিন তালাক দিয়েছিলব। পরে এক আত্মীয়ের সঙ্গে হালালা (হালালার একটি রীতি) অর্থাৎ সহবাস পালন করে তাদের ফের নিকাহ হয় । প্রায় তিন মাস আগে, ওই ব্যক্তি আবারও তার স্ত্রীকে “তালাক তালাক তালাক” উচ্চারণ করে ঘর থেকে বের করে দেয় । অভিযুক্তের ছয়টি সন্তান রয়েছে এবং সে সন্তানদের তার সাথে নিয়ে যায়। অভিযুক্তের বড় মেয়ের বয়স প্রায় ১৫ বছর। মেয়েটি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী৷
যখন নির্যাতিতার মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়,ওইদিনই তার বাবা মাতাল অবস্থায় বাড়ি ফিরে রাতের খাবারের পর তাকে প্রথম ধর্ষণ করে। নির্যাতিতা চিৎকার করে কাঁদতে শুরু করলে তার মুখে কাপড় গুঁজে দেয় ।ভুক্তভোগী জানিয়েছে যে তার বাবা প্রতিদিন তাকে ধর্ষণ করত এবং হুমকি দিত। সে জানায় যে তার বাবা এই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে তার ছোট ভাইয়ের গলা ছুরি দিয়ে কেটে ফেলার হুমকি দিত। অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ভুক্তভোগীকে স্কুলে যেতেও বাধা দিত। অভিযুক্ত মেয়ের মাকেও হুমকি দিত। সে তাকে বলেছিল যে যদি সে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করে, তাহলে সে তার মেয়ের গলা কেটে ফেলবে। একই সাথে, এই বিষয়ে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা দায়ের করেছে এবং বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।।