দিব্যেন্দু রায়,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০১ ডিসেম্বর : এবার থেকে ল’ক্লার্কদের পড়নে দেখা যাবে নির্দিষ্ট রঙের পোশাক । পুরুষদের পড়নে থাকবে আকাশী রঙের জামা ও সাদা অথবা কালো প্যান্ট । মহিলা ল’ক্লার্কদের আকাশী পাড়ের সাদা শাড়ি পড়ে অফিসে দেখা যাবে এবার থেকে । ল’ক্লার্ক পরিচয় দিয়ে দালালদের প্রতারণা রুখতে এমনই উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ল ক্লার্কস অ্যাসোসিয়েশন । বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ড্রেস কোড বা পোশাকবিধি চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে ।
পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া শহরের মধ্যে রয়েছে কাটোয়া মহকুমা আদালত, ভূমি দফতর, পরিবহন দফতরের অফিসের মতন গুরুত্বপূর্ণ অফিসগুলি । সব মিলে রয়েছেন ১২৬ জন ল ক্লার্ক । মোট ১৪০ জন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ল’ক্লার্কের মধ্যে রয়েছেন ৭ – ৮ জন মহিলা । এছাড়া শিক্ষানবীশ রয়েছেন ২০ – ২২ জনের মত । অ্যাসোসিয়েশনের কাটোয়া ইউনিটের সম্পাদক অসীমনাথ মণ্ডল এদিন বলেন,’দালালরা নিজেদের ল ক্লার্ক পরিচয় দিয়ে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এমন ঘটনার কথা আকছার শোনা যায় । বিশেষ করে আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের এই ধরনের প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে । পরে মানুষ বুঝতে পারেন যাকে ল ক্লার্ক ভেবে তিনি টাকা দিয়েছিলেন তিনি আসলে দালাল । আর মূলত গ্রামাঞ্চলের মানুষরাই দালালদের প্রতারণার ফাঁদে বেশি পড়েন । তাই দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে কাটোয়ায় ল’ক্লার্কদের মধ্যে পোশাকবিধি চালু করা হয়েছে ।’ বিষয়টি সাধারণ মানুষদের অবগত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান ।
প্রসঙ্গত,কাটোয়া আদালতসহ বিভিন্ন অফিসগুলিতে প্রতিদিন বহু মানুষ নিজের কাজে আসেন । কিন্তু কে ল’ক্লার্ক তা অনেকে চিহ্নিত করতে পারেন না । আর সাধারণ মানুষদের এই অনভিজ্ঞতার সূযোগ নিয়ে দ্রুত কাজ করে দেওয়ার নামে তাদের কাছে দালালরা মোটা টাকা উসুল করে গাঢাকা দেয় বলে অভিযোগ । এবার থেকে ল’ক্লার্কদের মধ্যে ড্রেস কোড চালু হলে এই ধরনের প্রতারণা অনেকাংশে রোখা যাবে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ ।।