এইদিন ওয়েবডেস্ক,আমেদাবাদ,১৩ জুন : বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বিকেলে আহমেদাবাদ বিমানবন্দরের কাছে মেঘানী নগর এলাকায় লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন, যার মধ্যে ১২ জন ক্রু সদস্য (দুইজন পাইলট সহ) ছিলেন। বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার আগে পর্যন্ত, ডাঃ কনি ব্যাসের পরিবার একটি নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছিল। রাজস্থানের বাঁশওয়ারার একটি বেসরকারি হাসপাতালের প্যাথলজিস্ট ডাঃ কনি তার স্বামী, লন্ডন-ভিত্তিক ডাক্তার প্রতীক জোশী এবং তাদের তিন সন্তানের সাথে ভ্রমণ করছিলেন।
তিনি গত মাসে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন তার পাঁচ বছর বয়সী যমজ ছেলে প্রদ্যুৎ ও নকুল এবং আট বছর বয়সী মেয়ে মিরায়ার সাথে নতুন জীবন শুরু করার জন্য ।বিমানটি উড্ডয়নের আগে পরিবারটি একটি সেলফি তোলে। বিমানের একপাশে বাবা-মা এবং অন্যদিকে বাচ্চারা বসে ছিল। কয়েক মিনিট পরেই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনা।
বাঁশওয়ারার পরিবারের সদস্যদের মতে, প্যাসিফিক হাসপাতালের চাকরি থেকে পদত্যাগ করার পর, কনি এক মাস ধরে এই ভ্রমণের জন্য অধীর আগ্রহে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। আত্মীয়দের মতে, রেডিওলজিস্ট জোশি গত চার বছর ধরে লন্ডনে কর্মরত ছিলেন। সেখানে তার পরিবারের সাথে একটি নতুন জীবনের জন্য তিনি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। তার বাবাও একজন রেডিওলজিস্ট ছিলেন যিনি শহরের একটি সুপরিচিত সোনোগ্রাফি সেন্টার চালাতেন, আর তার বোন একজন ইঞ্জিনিয়ার।
তার খুড়তুতো ভাই নয়ন জোশী বলেন,’কোনি তার সন্তানদের সাথে উদয়পুরে থাকতেন, “তিনি বাঁশওয়ারায় থাকতেন কারণ সন্তানদের ভিসা এখনও প্রক্রিয়াধীন ছিল ।’ আত্মীয় স্বজনদের মতে, প্রায় এক দশক আগে এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল। জোশি তিন দিন আগে লন্ডন থেকে ফিরে এসেছিলেন তার পরিবারকে নিয়ে যেতে। বুধবার লন্ডনের উদ্দেশ্যে ফ্লাইটে ওঠার জন্য তিনি আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন । যাত্রার আগে কোনির পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য তাকে বিদায় জানাতে বিমানবন্দরে তার সাথে ছিলেন। কিন্তু মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে চিকিৎসক দম্পতি পরিবার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ।।