দিব্যেন্দু রায়,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৯ সেপ্টেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের রাজুর গ্রামের ইঁটভাটা মালিককে গুলি করে খুনের ঘটনায় এক দাগি দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ । পুলিশ জানিয়েছে,ধৃতের নাম ফুলবাবু শেখ (২৬) ওরফে তোতা শেখ । তার বাড়ি কেতুগ্রামের খাঁজি গ্রামে ।ফুলবাবু শেখ একজন দাগি দুস্কৃতী বলে পুলিশের খাতায় চিহ্নিত । তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ তার জড়িত থাকার প্রমান পেয়ে খোঁজখবর শুরু করে । কিন্তু মাস খানেক আগে মির্জা সাহিদুল্লা ওরফে বটু মির্জা নামে ওই ব্যবসায়ী খুন হওয়ার পরেই চেন্নাইয়ের টিনুভাল্লুর জেলার পুনামাল্লি থানার অন্তর্গত শক্তিনগর এলাকায় গাঢাকা দিয়েছিল ফুলবাবু শেখ । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিশের একটি দল চেন্নাইয়ে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে । ট্রানজিট রিমাণ্ডে এরাজ্যে নিয়ে আসার পর তাকে এদিন শনিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।
কেতুগ্রামের রাজুর গ্রামের কাছে বাদশাহী রোডের পাশেই রয়েছে মির্জা সাহিদুল্লা ওরফে বটু মির্জার ইঁটভাটা । গত ১৩ আগস্ট সন্ধ্যার মুখে দুই বাইকে চড়ে চার দুষ্কৃতী এসে সাহিদুল্লাকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে খুন করে পালিয়ে যায় । এনিয়ে থানায় একটি এফআইআর রজু করেন নিহত ব্যবসায়ীর ছেলে মির্জা হিদায়তুল্লাহ ।
জানা গেছে, ঘটনার পর তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে যে প্রথমে খাঁজি গ্রাম থেকে রাজুরের দিকে আসে দুই বাইকে চড়ে আসা চার দুষ্কৃতী । তারপর ওই রাস্তা দিয়েই তারা পালিয়ে যায় । পরে সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে খাঁজি গ্রামের বাসিন্দা ফুলবাবু শেখ এই খুনে ঘটনায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত । তবে ব্যবসায়ীকে খুনের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কেউ । ওই ব্যক্তিই মির্জা সাহিদুল্লা ওরফে বটু মির্জাকে খুনের জন্য সুপারি কিলার জোগাড়ের দায়িত্ব দিয়েছিল ফুলবাবু শেখের উপর । ভাড়াটে খুনি জোগাড় এবং খুনের ব্লুপ্রিন্ট ফুলবাবুরই তৈরি বলে জানতে পেরেছে পুলিশ । ধৃতকে জেরা করে মূল ব্যক্তি ও সুপারি কিলারদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ।।