এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),৩০ জুলাই : মাসে মাসে ভালো লভ্যাংশের টোপ দিয়ে ৮ লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমান জেলার নাদনঘাট থানা এলাকার বাসিন্দা এক দম্পতির বিরুদ্ধে । কেতুগ্রামের বারেন্দা গ্রামের বাসিন্দা অরূপ মাজি নামে এক ব্যক্তি এনিয়ে নুরুল হাসান ও রেশমী খাতুনের বিরুদ্ধে আজ বুধবার কেতুগ্রাম থানায় একটা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন । দম্পতির বিরুদ্ধে তিনি আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থা খুলে তার মোট ৮ লক্ষ ৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
জানা গেছে, নাদনঘাট থানার উত্তর শ্রীরামপুর এলাকায় বাড়ি নুরুল হাসান ও রেশমী খাতুন নামে ওই দম্পতির । অন্যদিকে কেতুগ্রামের বারেন্দা গ্রামের বাসিন্দা অরূপ মাজি জলের পাইপলাইনের কাজ শ্রমিকের কাজ করেন। অরূপবাবু জানিয়েছেন এক বন্ধুর মাধ্যমে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ নাদনঘাটের নুরুল হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল । তারা নিজেদের ওই আর্থিক লগ্নিকারী সংস্থার ডিরেক্টর হিসাবে পরিচয় দেন । দম্পতি তাকে মোট বিনিয়োগ কৃত টাকার উপর মাসিক ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন । কিছু আয়ের আশায় তিনি, তার গ্রামের আর এক বাসিন্দা কৌশিক ঘোষ এবং মঙ্গলকোটের চকগ্রামের হায়দর আলি মিলে মোট ৮ লক্ষ চার হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন ওই সংস্থায় ।মাস তিনেক তাদের অ্যাকাউন্টে ৫ শতাংশ হারে লভ্যাংশ জমাও হয়৷ কিন্তু তারপর আর তারা কোনো টাকা পাননি বলে অভিযোগ
অরূপ মাজির অভিযোগ,’লভ্যাংশ তো দুরের কথা আসল টাকা ফেরত চাইলে সেই টাকাও ফেরত পাচ্ছি না । বারবার আমরা আসল টাকা ফেরত চাইছিলাম। কিন্তু দম্পতি বারবার আমাদের কাছে সময় নিচ্ছিল। কিন্তু এযাবৎ টাকা দেয়নি । ইদানিং ফোনেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না নাদনঘাটের ওই দম্পতির সঙ্গে । তাই নিরুপায় হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি ।’
তার কথামত, ২০২৩ সালের ৮ মার্চ প্রথম দফায় ফোন পের মাধ্যমে নুরুল হাসানের অ্যাকাউন্টে ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল । তারপর থেকে দফায় দফায় ওইবছর অক্টোবর মাস পর্যন্ত মোট ৭ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকা ফোন পের মাধ্যমের দেন তারা । বাকি ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয় নগদে । জানা গেছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগে কেতুগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে । তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত গ্রেপ্তারের কোনো খবর নেই ।।

