এইদিন ওয়েবডেস্ক,উগান্ডা,১৭ ডিসেম্বর : উগান্ডায় কুড়াল ও ছুরি দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে এক খ্রিস্টান মহিলাকে হত্যা করেছে মুসলিমরা । অ্যালাইড ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (ADF)-এর সন্ত্রাসীরা চলতি সপ্তাহে উগান্ডার কাসেসে ওই মহিলাকে হত্যা করে এবং একজন পুরুষকে অপহরণ করে নিয়ে যায় । এডিএফ হল কঙ্গোর একটি ইসলামি সন্ত্রাসবাদী সংগঠন । ইসলামের প্রসারের উদ্দেশ্যে ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি অমুসলিমদের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করতে নিয়মিত ব্যবধানে নির্বিচারে নিরীহ মানুষদের হত্যা করে আসছে ।
গোষ্ঠীটি ৭ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে পশ্চিম উগান্ডার কাসেজে জেলার এনগোকো গ্রামে হামলা চালায়। তারা বেটি বিরা নামে ৩৫ বছর বয়স্ক ওই খ্রিস্টান মহিলাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে । হামলাকারীরা মহিলার ১৩ বছর বয়সী ভাইপো জন মাসরেকাকেও কুপিয়েছে । তবে সে প্রাণে বেঁচে গেছে । স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে যে অ্যাস্টন আগাবা নামে একজন ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে অপহরণ করা হয়েছে এবং এখনও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এনগোকো গ্রামের চেয়ারপার্সন কায়ো জোসেফ বলেছেন,’যদিও আমরা একজনকে হারিয়েছি এবং অ্যাস্টন কোথায় তা আমরা জানি না, আমরা সর্বশক্তিমান ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাই যে ১৩ বছর বয়সী ছেলেটি সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার পরে আক্রমণ থেকে বেঁচে গিয়েছিল ৷ কিন্তু তার কপালে এবং মাথার খুলিতে কুড়াল দিয়ে কোপানো হয়েছে ।’
মাসরেকা তার পিসিকে হত্যার বিবরণ দিয়ে বলেছে, ‘হত্যাকারীরা ছিল অদ্ভুত মানুষ। তারা এমন একটা ভাষায় কথা বলছিল যা আমি বুঝতে পারিনি। তারা কুড়াল ও ছুরি দিয়ে আমার পিসিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে । তারা ছিল প্রায় পাঁচজনের একটি দল, যারা ফোন এবং খাবার দাবি করছিল। ওরা আমার পিসিকে কোপাতে লাগল। তাকে হত্যা করার পর, তারা আমার দিকে এল; তারা বন্দুক এবং অন্যান্য জিনিস যেমন কুড়াল এবং ছুরি দিয়ে সজ্জিত ছিল। মনে মনে, আমি যীশুর কাছে প্রার্থনা করছিলাম আমাকে বাঁচানোর জন্য। আমি বেশ কিছু ক্ষত সহ্য করেছি, কিন্তু প্রভু আমাকে পালাতে সাহায্য করেছেন । আমাকে ভালো শমরিটানরা উদ্ধার করেছিল যারা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল।’
প্রসঙ্গত,উগান্ডার কুইন এলিজাবেথ ন্যাশনাল পার্কে এডিএফের হামলার দেড় মাস পরে কিটসওয়াম্বা সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে, যার ফলে তিনজন বিদেশী পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও, গত ১৬ জুন কঙ্গোলিজ ইসলামপন্থী গোষ্ঠী কাসেস জেলার একটি স্কুলে হামলা চালিয়ে ৪০ জন ছাত্রকে হত্যা করে ।।