দিব্যেন্দু রায়,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),০৪ আগস্ট : ঘরের মাঁচা থেকে ঝুলে থাকা একটি নাইলনের দড়িতে চেপে দোল খেতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিনতি হল পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামের গোপীনাথবাটি গ্রামের এক শিশুর । ওই দড়ির ফাঁস লেগে যায় শিশুর গলায় । কিন্তু সেই সময় বাড়িতে কেউ না থাকায় তাকে ফাঁস মুক্ত করা সম্ভব হয়নি । পরে স্থানীয় এক ব্যক্তির নজরে পড়লে শিশুকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । খবর পেয়ে গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে শিশুর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় । পুলিশ জানিয়েছে,মৃত শিশুর নাম রাজদীপ বাগদি(৮) ।
জানা গেছে,রাজদীপরা দু’ভাইবোন । সে ছোট । দিদি মিতা দিগনগর উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী । তাঁদের বাবা ধনেশ্বর বাগদি ও মা মন্দিরাদেবী জনমজুরির কাজ করেন । এদিন বৃহস্পতিবার সকালে মাঠে চাষের কাজে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন রাজদীপের বাবা ও মা । দিদি গিয়েছিল স্কুলে । বাড়িতে একাই ছিল রাজদীপ । প্রথমে কিছুটা সময় সে পাড়ার বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করে । তারপর সে বাড়ি ফিরে আসে । আপন মনেই সে বাড়িতে খেলা করছিল । তারই মাঝে সে বারান্দায় টাঙানো নাইলনের একটি দড়িতে দোল খাওয়ার চেষ্টা করছিল । আর তখনই ঘটে যায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ।
জানা গেছে,ওই দড়িতে ঝোলানো ছিল শুকনো পাতা ভর্তি কয়েকটি বস্তা । তার মধ্যে একটি বস্তার উপরে বসে দোল খাচ্ছিল রাজদীপ । সেই সময় বস্তা সরে গিয়ে নাইলনের দড়ির ফাঁস লেগে যায় ওই শিশুর গলায় । কিছুক্ষণের মধ্যেই সে নিস্তেজ হয়ে পড়ে । বেশ কিছুক্ষন পরে প্রতিবেশী কিশোর বাগদির বিষয়টি নজরে পড়ে । শিশুটিকে নিস্তেজ অবস্থায় ঝুলতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয় । তিনি কাছে গিয়ে প্রথমে দড়ি কেটে শিশুটিকে উদ্ধার করেন । তারপর তাকে তড়িঘড়ি গুসকরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ।।