এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৮ অক্টোবর : ভাইফোঁটা নেওয়ার পর আপন মনে বাড়ির আশেপাশে খেলা করছিল বছর সাতেকের শিশু । ঝোপঝাড়ের মধ্যে কখন যে তার ডান পায়ের গোড়ালির কাছে সাপে কামড়ে দিয়েছিল সেটি সে বুঝতে পারেনি । বেলা প্রায় ১২ টার দিকে শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । মর্তান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার তুলসিডাঙ্গা গ্রামে । মৃত শিশুর নাম ভাস্কর পাল । শুক্রবার মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ । উৎসবের দিনে এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায় ।
জানা গেছে,তুলসিডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ পালের দুই সন্তানের মধ্যে ছোট ভাস্কর । ভাস্কর তুলসিডাঙ্গার প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াশোনা করত । বিকাশবাবুর বড় ছেলে বীরভূম জেলার নানুর থানা এলাকার বাসিন্দা শালিকার কাছে থাকে । তাঁর স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ । একটি মিষ্টির কাজ করে কোনো রকমে সংসার চালান তিনি ।
জানা গেছে,বিকাশ পালের বাড়ির আশেপাশেই তাঁর আত্মীয়স্বজনরা বসবাস করে । বৃহস্পতিবার সকালে সম্পর্কীয় দিদির কাছে ভাইফোঁটা নিয়ে বাড়ির আশেপাশে ঝোপঝাড়ে একাই খেলাধুলা করছিল ভাস্কর । সেই সময় অজানা সাপে তাকে দংশন করে । তুলসিডাঙ্গার প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বাবলু কুমার দাস বলেন,’শিশুটি বুঝতে পারেনি যে তাকে সাপে কামড়েছে । ফলে ওই অবস্থাতেই সে আপন মনে খেলাধুলা করছিল । কিন্তু ঘন্টা খানেক পরেই তার শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হয় । বেলা প্রায় বারোটা নাগাদ শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তড়িঘড়ি ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । চিকিৎসকরা জানান সাপের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে ওই শিশুর ।’
এদিকে দীর্ঘ ছুটির পর এদিন শুক্রবার থেকে স্কুল খুলছে । বাবলুবাবু জানিয়েছেন,স্কুলের এক শিশুর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুর পর গ্রামে শোকের আবহ । তাই এই পরিস্থিতির কারনে এদিন তিনি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন ।।