এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগনা,১৮ অক্টোবর : বাড়িতে পনির দিতে এসে গৃহবধূর কাছে একগ্লাস জল চেয়েছিল যুবক । বধূ ঘর থেকে জল এনে তার হাতে দেয় । এরপর ওই যুবক কাছে থাকা পনির কাটার ছুরি দিয়ে বধূর গলার নলি কেটে খুন করে । শুভ চতুর্থীর দিন নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মধ্যমগ্রামের কাজী নজরুল ইসলাম সরণির একটি বাড়িতে । পরে বধূর নাবালক ছেলের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘাতককে ধরে ফেলে এবং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় । পাশাপাশি বধুকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । মৃতার নাম পারমিতা চক্রবর্তী । যদিও কেন পারমিতাদেবীকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করা হল তানিয়ে ধন্দ্বে আছেন তার স্বামী ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মধ্যমগ্রামের কাজী নজরুল ইসলাম সরণির বাসিন্দা পারমিতা চক্রবর্তীর বাড়িতে রয়েছে স্বামী,এক মেয়ে ও এক ছেলে । মেয়ে কলেজের ছাত্রী । এদিন পারমিতাদেবীর স্বামী কর্মস্থলে গিয়েছিলেন । মেয়ে অন্যান্য দিনের মত কলেজে চলে যায় । বাড়িতে ছিলেন পারমিতাদেবী ও তার নাবালক ছেলে । বেলা ১১ টা নাগাদ স্থানীয় এক পনির বিক্রেতা পারমিতাদেবীর বাড়িতে এসে পনির দিতে আসে । সেই সময় সে পারমিতাদেবীর কাছে একগ্লাস জল চায় । তিনি ঘর থেকে একটা গ্লাসে জল এনে পনির বিক্রেতাকে দেন । আর তখনই পনির কাটার ছুরি দিয়ে ওই যুবক পারমিতাদেবীর নলি কেটে দেয় ।
জানা গেছে,ঘটনার সময় বাড়ির দু’তলায় ছিল পারমিতাদেবীর নাবালক ছেলে । সে মায়ের আর্ত চিৎকারে নিচে ছুটে আসে । মা’কে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে পাশের বাড়ির লোকজনদের চিৎকার করে ডাকে কিশোর । নিমেষের মধ্যে বেশকিছু লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে যায় । তারাই পারমিতাদেবীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং ঘাতকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় । স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান,মৃতার গলায় সোনার চেন ছিল, সেই চেন কেড়ে নেবার চেষ্টার সময় বধূর গলার নলিকেটে হত্যা করে পনির বিক্রেতা । ঘাতক বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।।