এইদিন ওয়েবডেস্ক,ভোপাল,৩০ জুলাই : মধ্যপ্রদেশের সাতনা জেলার মাইহারে ১২ বছরের আদিবাসী কিশোরীকে গনধর্ষণে দুই অভিযুক্ত রবি চৌধুরী (৩১) এবং অতুল ভাধোলিয়ার (৩০) বাড়ির অবৈধ নির্মান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল প্রশাসন । ইতিপূর্বেই ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ । জানা গেছে,মাইহার শহরের আদিবাসী পল্লিতে বসবাস করে কিশোরীর পরিবার । মেয়েটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে । ঘটনার দিন রবি ও অতুল মিলে কিশোরীকে তুলে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায় । দু’জন মিলে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে । তারা মেয়েটির সারা শরীরে কামড় দেয় । এমনকি তার গোপনাঙ্গে রড পর্যন্ত ঢোকায় ওই দুই নরপশু । তারপর তারা মেয়েটিকে নির্জন জায়গায় আহত অবস্থায় ফেলে পালিয়ে যায় ।
মাইহার টাউন ইন্সপেক্টর (টিআই) অনিমেষ দ্বিবেদী জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের অপরাধ কবুল করেছে। অভিযুক্তরা পুলিশকে জানিয়েছে যে নাবালিকা মেয়েটি যখন মন্দিরে জল নিতে যাচ্ছিল তখন তারা তাকে বাধা দেয়। তারা তাকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।। এর পরে অভিযুক্তরা তাকে একাধিকবার কামড় দেয় এবং নির্যাতিতা অচেতন হওয়ার আগে তার গোপনাঙ্গে একটি কাঠ ঢুকিয়ে দেয়। পরে নির্যাতিতাকে তার পরিবারের সদস্যরা শোচনীয় অবস্থায় দেখতে পান।
নির্যাতিতা কিশোরীর কাছ থেকে সমগ্র ঘটনা শোনার পর দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ । শনিবার মাইহার শহরে দুই অভিযুক্তের বাড়ির অবৈধ নির্মান বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় । মধ্যপ্রদেশ পুলিশ টুইট করেছে,’সাতনা জেলার মাইহারে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । প্রশাসন ও পুলিশের একটি যৌথ দল আজ বুলডোজার ব্যবহার করে অভিযুক্ত উভয়ের অবৈধ নির্মান ভেঙ্গে দিয়েছে ।’।