এইদিন ওয়েবডেস্ক,আউশগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),১৩ সেপ্টেম্বর : বছর পঁচিশের আদিবাসী বধূর স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক, কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে থাকেন । বাড়িতে রয়েছেন শুধু বৃদ্ধা শাশুড়ি । এই সুযোগটা কাজে লাগায় পাশের বাগদি পাড়ার বছর ত্রিশের এক বিবাহিত যুবক ও ওই বধূ । দিনের বেলায় আড়ালে আবডালে চলত চুটিয়ে রোমান্স । আর রাতে বধূর শাশুড়ির নজর এড়িয়ে যুবক সোজা ঢুকে যেত তার ঘরে । বধূও দরজার ছিটকিনি খুলে রাখত । ফলে পাশের ঘরে থাকা বধূর শাশুড়ি টেরও পেতেন না । তারপর রাতভর চলত উদ্যাম যৌনতা । কিন্তু শুক্রবার রাতে আউশগ্রামের ভেদিয়া গ্রামের ওই প্রেমী যুগলের জন্য ভাগ্য সহায় হয়নি । বধূর শাশুড়ি টের পেয়ে যান তার পুত্রবধূর এই পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি । তারপর বেধে যায় হুলুস্থুল কান্ড ।
আউশগ্রামের ভেদিয়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ার ঠিক পাশেই বাগদিপাড়া । জানা গেছে,শুক্রবার রাতে বাগদিপাড়ার যুবক চুপিসারে আদিবাসী বধূর ঘরে ঢুকে পড়ে । তখন বধূর শাশুড়ি জেগে ছিলেন । খুটখাট শব্দ কানে গেলে তিনি চুপিচুপি বাইরে বেড়িয়ে আসেন । তিনি পাশে পুত্রবধূর ঘরের দরজায় হালকা ঠিলতেই খুলে যায়৷ তখন তিনি পুত্রবধূ ও যুবককে অপ্রীতিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন । যদিও বৃদ্ধার উপস্থিতি টের পাননি প্রেমী যুগল ।
জানা গেছে,বধূর শাশুড়ি কোন সাড়াশব্দ না দিয়ে বাইরে থেকে দরজার শিকল তুলে দেন । বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে প্রতিবেশীদের ঘটনার কথা জানান । ঘটনার কথা চাওড় হতেই প্রচুর লোকজন জড়ো হয়ে যায় । স্থানীয় বাসিন্দারা গোটা বাড়ি কার্যত ঘিরে ফেলে বধূ ও তার প্রেমিককে ঘরের ভিতরে আটকে রেখে দেয় । আজ শনিবার সকালে দু’জনকে ঘর থেকে বের করে একটা বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রেখে দেওয়া হয় । চলে চড়থাপ্পড় । ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
জানা গেছে,ভেদিয়া গ্রামের উত্তেজনার খবর চলে যায় আউশগ্রামের ছোড়া ফাঁড়িতে৷ পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসে । কিন্তু ওই দুজনকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করতে কার্যত হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। শেষ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ পুলিশ নাগাদ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়৷ যদিও এই ঘটনায় বিকেল পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গেছে।।