এইদিন ওয়েবডেস্ক,,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১১ সেপ্টেম্বর : শ্বশুরবাড়িতে রহস্যজনকভাবে আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার ওড়গ্রামের এক বধূর । বছর তেত্রিশের ওই বধূর নাম সুলতানা বেগম । রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ শ্বশুরবাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পর বধূকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল । কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি । এই ঘটনায় বধূর স্বামী নওসের আলম খান, দেওর খুরসেদ আলম খান, ননদ সাহনাজ খান এবং ননদের স্বামী মনিরুদ্দিন খানের বিরুদ্ধে ভাতার থানায় একটা এফ আই আর রজু করেছেন মৃতার ভাই শেখ আসলামউদিন । তার অভিযোগ,স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারের হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তার দিদি ।
জানা গেছে,বর্ধমান শহরের নতুনগঞ্জ এলাকায় বাপের বাড়ি সুলতানা বেগমের । বছর ১২ আগে ওড়গ্রাম পাঠানপাড়ার বাসিন্দা নওসের আলম খানের সঙ্গে দেখাশোনা করে তার বিয়ে হয় । তাদের ১০ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে । মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সুলতানা বেগমের উপর নির্যাতন চালাতো । মাস খানেক আগে সুলতানাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে একটা হাত ভেঙে দেয় তার স্বামী । এনিয়ে মামলাও হয় । সেই মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে ।
পরিবার সূত্রে খবর,হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনার পর বাপের বাড়িতে চলে যান সুলতানা । সন্তানকে নিয়ে কিছু দিন তিনি বাপের বাড়িতেই থাকেন । পরে দুই পরিবারের আপোষ মিমাংসা হলে ফের শ্বশুরবাড়ি ফিরে আসেন ওই বধূ । শেখ আসলামউদিনের অভিযোগ,তার পরেও তার দিদির উপর অত্যাচার বন্ধ হয়নি । শনিবার ওড়গ্রামের পাঠানপাড়ার জনৈক এক ব্যক্তি ফোন করে দিদির অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর জানায় । একথা শুনে তারা বর্ধমান থেকে ওড়গ্রামে আসেন । তারপর তারা দিদিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন । কিন্তু ভর্তি করার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই তার দিদির মৃত্যু হয় । অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি । এদিকে ঘটনার পর থেকেই চম্পট দিয়েছে অভিযুক্তরা । পুলিশ তাদের খুঁজছে ।।