এইদিন ওয়েবডেস্ক,কেতুগ্রাম(পূর্ব বর্ধমান),২২ জুলাই : দিন কয়েক আগে মজুত রাখা বোমা বিস্ফোরণে ধূলিস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানা এলাকার বাণেশ্বরপুর গ্রামের একটি মাটির । পরে ওই বাড়িরই ছেলেকে বোমা মজুত রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ । তার জের কাটতে না কাটতেই ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল পূর্ব বর্ধমান জেলায় । এবারের ঘটনাস্থল কাটোয়া মহকুমা এলাকার কেতুগ্রাম থানার সুজাপুর গ্রাম । বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা জনৈক সাক্ষীগোপাল ঘোষের বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে । বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির মালিকসহ ৩ জন জখম হয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের । এদিকে খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । তবে তার আগেই আহতদের নিয়ে গাঢাকা দেয় পরিবারের অনান্য সদস্যরা । পুলিশ বাড়িটিকে ঘিরে রেখেছে । পাশাপাশি পরিবারের লোকজনদের সন্ধান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ । এদিকে এই ঘটনা ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল চাপানউতোর শুরু হয়ে গেছে । বিজেপির দাবি সাক্ষীগোপাল ঘোষ তৃণমূলের কর্মী । অন্যদিকে সাক্ষীগোপালের ছেলে শুভজিৎকে বিজেপি কর্মী বলে পালটা দাবি করেছে তৃণমূল ।
জানা গেছে,সুজাপুর গ্রামের বাসিন্দা সাক্ষীগোপাল ঘোষের বাড়িতে রয়েছেন তাঁ স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূ ও ভাইসহ মোট ৬ জন সদস্য । একতলা পাকা বাড়িতে বসবাস । এদিন ভোর রাতে তাঁদের বাড়ি থেকে প্রবল জোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান গ্রামবাসীরা । তাঁরা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখতে পান পাকা ঘরের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়েছে । বাকি দেওয়ালগুলিতে বিস্ফোরণের জেরে ফাটল ধরেছে ।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বাড়িতে মজুত একাধিক হাতবোমায় বিস্ফোরণ ঘটায় এই ঘটনাটি ঘটেছে । তবে পুলিশ গিয়ে পরিবারের কোনও সদস্যকেই দেখতে পায়নি । স্থানীয়দের একাংশের দাবি,বিস্ফোরণের জেরে সাক্ষীগোপাল, তার ছেলে ও ভাই আহত হয়েছেন । ঘটনার পরেই আহতদের নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে পরিবারের বাকি সদস্য ও সদস্যারা ।
সুজাপুর গ্রামের বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির সাংগঠনিক কাটোয়া জেলার সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘সুজাপুর গ্রামে যার বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটেছে উনি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন কর্মী। বাড়িতে বোমা মজুত রাখা হয়েছিল । কোনও ভাবে তাতে বিস্ফোরণ হয়ে যায় । ফলে বোমা মজুত রাখার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে । এদিনের এই ঘটনার পর এলাকার মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে । আমাদের দাবি পুলিশ নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করুক । ওই সমস্ত দুষ্কৃতিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিক পুলিশ ।’
অন্যদিকে কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ বলেন,” আমার বিধানসভা এলাকা অনেক বড় । তার মধ্যে কে কাকে ভোট দিয়েছে বা কে কোন দলের সমর্থক অত খবর রাখা কারোর পক্ষেই সম্ভব নয় । পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে ৷ আইন আইনের পথে চলবে ।’।