এইদিন ওয়েবডেস্ক,চিত্রকুট,২৪ ফেব্রুয়ারী : গ্রামের দুই যুবকের সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল এক বিবাহিতা মহিলা । দু’জনেই চেয়েছিল মহিলাকে বিয়ে করতে । আর তা নিয়ে দুই প্রেমিকের মধ্যে রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়েছিল । শেষে প্রাণ হারাতে হয় একজনকে । মহিলার এক প্রেমিক আর এক প্রেমিককে শ্বাসরোধ করে খুন করে নির্জন জায়গায় দেহটি পুঁতে দেয় । প্রায় দেড় মাস পর গলাপচা দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ । ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের চিত্রকুট (Chitrakoot) জেলার কোট্যালী(Kotyali) এলাকার বড়োয়ারা (Baroara) গ্রামে । নিহতের নাম নিখিল প্যাটেল(Nikhil Patel)। এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে,বড়োয়ারা (Baroara) গ্রামের বাসিন্দা নিখিল প্যাটেলের সঙ্গে গ্রামেরই এক গৃহবধুর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল । পাশাপাশি একই গ্রামের বাসিন্দা কমল উপাধ্যায় (Kamal Upadhyay) নামে আরও এক যুবকের সাথে গোপনে প্রেম করছিলেন ওই মহিলা । এই ত্রিকোন প্রেমের জেরে দুই প্রেমিকের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল কিছুদিন ধরে । এরপর গত ৩ জানুয়ারী নিখিল আচমকা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় । খোঁজাখুঁজি করেও যুবকের সন্ধান না পেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার । গত ৮ জানুয়ারী নিহতের আত্মীয়রা করভি থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ বিগত দেড় মাস ধরে তদন্তে গাফেলতি দেখালে নিহতের পরিবার পুলিশ সুপারের শরণাপন্ন হয় ।
চিত্রকুটের পুলিশ সুপার বৃন্দা শুক্লা (Brinda Shukla) বলেন,’ঘটনার তদন্তে নেমে নিহত যুবকের দুই সঙ্গী কমল উপাধ্যায়(Kamal Upadhyay) ও সানি(Sunny) নামে এক যুবককে হেফাজতে নিলে বিষয়টি জানাজানি হয় । তারা কবুল করে নিহত নিখিলের সঙ্গে গ্রামের এক গৃহবধূর পরকীয়া ছিল । অভিযুক্ত কমল উপাধ্যায়েরও একই মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিক কামালকে নিয়ে ওই বধুই নিখিলকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে । প্রথমে নিখিলকে ডেকে পাঠানো হয়, তারপর কমল ও তার বন্ধু সানি শ্বাসরোধ করে নিখিলকে হত্যা করে । পরে হত্যাকারীরা নিখিলের লাশ গ্রামের খালের পাড়ে পুঁতে রাখে ।’ পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে করভি থানার ইনচার্জ সাব-ইন্সপেক্টর রাধেশ্যামকে (Radheshyam) বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তৎকালীন এসএইচওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।।