এইদিন ওয়েবডেস্ক,নয়াদিল্লি,২৯ ডিসেম্বর : দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাসকারী বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের অভিযান চলছে। দিল্লি পুলিশ এই অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করতে কয়্রকদিন ধরেই অভিযান চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রতিটি ঠেকের দরজায় দরজায় গিয়ে জনগণের নথিপত্র খতিয়ে দেখছে। তথ্য অনুসারে, পুলিশ জানিয়েছে যে দিল্লির আরকে পুরম থানা এলাকায় এমন একজন অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাকে ২০ বছর আগে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে ফের ভারতে অনুপ্রবেশ করে এবং দিল্লিতে বসবাস শুরু করে । পুলিশ জানিয়েছে, তাকে আবারও দেশ থেকে তাড়ানো হবে।
জানা গেছে,ওই ব্যক্তির নাম ফিরোজ মোল্লা। যে বাংলাদেশের মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা । ফিরোজ মোল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় পুলিশ জানতে পেরেছে যে সে ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দিল্লিতে ছিল । সেই সময় তিনি যমুনাপুষ্ট এলাকার ঢোলক কলোনিতে থাকত । ২০০৪ সালে দিল্লি পুলিশ তাকে ধরে বাংলাদেশে ফেরত পাঠায়। কিন্তু সে দিল্লিতে ফিরে আসে এবং দিল্লির ধাবা ও দোকানে কাজ করতে শুরু করে । জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজ জানিয়েছে, ১৯৯০ সালে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে অবৈধভাবে ভারতে এসেছিল সে । তার বাবা-মাও বহু বছর ধরে দিল্লিতে অবৈধভাবে বসবাস করছিল । ২০০২ সালে ফিরোজের পরিবার বাংলাদেশে ফিরে যায় ।
এদিকে দিল্লি পুলিশ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) প্রায় ৪০০ পরিবারের নাগরিক নথিপত্র তদন্ত করে। এ সময় ৮ অভিযুক্ত অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সবাই বনের পথ দিয়ে ভারতে ঢুকে এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ করেছিল । ধৃত সকল অভিবাসীকে বিদেশী আঞ্চলিক নিবন্ধন অফিস( FRRO) -এর মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠানো হবে । পুলিশ জানিয়েছে যে সমস্ত অবৈধ অভিবাসীকে দিল্লির দক্ষিণ-পশ্চিম জেলায় ধরা হয়েছে। তারা হল- জাহাঙ্গীর, পরিনা বেগম, জাহিদ, অহিদ, সিরাজুল, ফাতেমা, আশিমা ও ওয়াহিদ। তারা সবাই বাংলাদেশের বাসিন্দা এবং দিল্লিতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন। রাজধানীতে অভিযুক্ত অবৈধ অভিবাসীদের উপর নজর রাখা এবং তাদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে দিল্লি পুলিশের এই অভিযান চালানো হচ্ছে।।