এইদিন ওয়েবডেস্ক,বরিশাল,১০ ডিসেম্বর : বাংলাদেশিরা মাঝে মধ্যে এমন অদ্ভুত কান্ডকারখানা ঘটিয়ে দিচ্ছে যা ইতিপূর্বে শোনা যায়নি৷ মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে তদারকি সরকার আসার পর বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অভাব ব্যাপক বেড়ে গেছে । পেটের দায়ে তারা বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে তারা চড়া শুদে ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে । কিন্তু ঋণের কিস্তি শোধ করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে তাদের । আর কিস্তি দিতে না পারায় ওই সমস্ত বেসরকারি সংস্থাগুলি তাদের বাড়ি গিয়ে হাতের কাছে যা পাচ্ছে তুলে নিয়ে পালিয়ে আসছে । সম্প্রতি একজন ঋণ গ্রহীতা বধূর হাত থেকে পিতলের বদনা কেড়ে নিয়ে পালায় একটি ঋণ দানকারী এনজিওর। এবারে বরিশালের আগৈলঝাড়ায় টিএমএসএস এনজিওর কিস্তির টাকা দিতে না পারায় গৃহস্থের চীনাহাঁস নিয়ে তুলে নিয়ে গেল তারা । উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফুল্লশ্রী গ্রামের মুরাদ হোসেনের স্ত্রী হাফিজা খানম ঠেঙ্গামারা মহিলা সবুজ সংঘের (টিএমএসএস) সদস্য। এই এনজিও থেকে চলতি বছরের প্রথম দিকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নেন তিনি। এর পর থেকে প্রতি সপ্তাহে ১ হাজার ২৫০ টাকা নিয়মিত কিস্তি দিয়ে আসছিলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে তাদের বাড়িতে কিস্তির টাকা নিতে আসেন মাঠকর্মী ফিরোজ খান। হাফিজা টাকা পরে দেবেন জানালে ফিরোজ খান টাকার পরিবর্তে হাঁস দাবি করেন। কিন্তু হাঁস দিতে অস্বীকার করে হাফিজা পাশের বাড়ি চলে যান। এই সুযোগে ফিরোজ খান ও তাঁর সহযোগী উঠান থেকে একটি চীনাহাঁস ধরে নিয়ে পালিয়ে যায় ।
হাফিজা খানম জানান, একটি কিস্তির টাকা কিছুদিন পরে পরিশোধ করব বলেছিলাম। এর পরও তারা আমার অবর্তমানে মেয়ের শখের হাঁসটি নিয়ে যায়। হাঁসটির দাম এক হাজার ৫-৬০০ টাকা হবে।
এনজিও সমন্বয় পরিষদের সভাপতি কাজল দাস গুপ্ত বলেন, টিএমএসএস এনজিও আগৈলঝাড়া এনজিও সমন্বয় পরিষদের আওতাভুক্ত নয়। তবে কিস্তির টাকার পরিবর্তে ঋণগ্রহীতার বাড়ি থেকে কোনো জিনিস আনার বৈধতা নেই। একই কথা বলেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তপন বিশ্বাস। অভিযুক্ত ফিরোজ খান ঋণগ্রহীতা হাফিজা খানমের বাড়ি থেকে হাঁস আনার কথা স্বীকার করেছেন । তবে তিনি বলেছেন, আমি আর আমার বন্ধু মিলে হাঁসটা জবাই করে খাবো বলে এনেছি ।’ কিন্তু বিনা অনুমতিতে আনার জন্য চুরির কেসও তো করে দিতে পারে ? এর উত্তরে ফিরোজ খান বলেন,’লোভ সামলাতে পারলাম না ।’।

