এইদিন ওয়েবডেস্ক,হবিগঞ্জ,১৩ আগস্ট : সকালে স্কুলে যাওয়ার জন্য একটি গাড়িতে উঠেছিলেন । কিন্তু চালকের মনে ছিল অসদ্ উদ্দেশ্যে । সে গাড়িটি মূল রাস্তা দিয়ে না নিয়ে গিয়ে একটি গলির ভিতর দিয়ে যেতে শুরু করে । চালকের অভিসন্ধি বুঝতে অসুবিধা হয়নি বছর ত্রিশের ওই তরুনীর । শেষে নিজের সম্ভ্রম বাঁচাতে প্রবল বেগে যাওয়া গাড়ি থেকে লাফিয়ে পড়েন তিনি ।পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় শিক্ষিকাকে । কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি । মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের হবিগঞ্জের (Habiganj) শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ দেউন্দি (Shaistaganj-Deundi) সড়কের ফরিদপুর (Faridpur) এলাকায় ।
জানা গেছে, নিহত শিক্ষিকার নাম সুপ্তা রানী দাস (Supta Rani Das,30)। হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার তাঁর বাড়ি । শায়েস্তাগঞ্জের নিশাপাত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন তিনি । প্রতিদিনের মত বৃহস্পতিবার সকালেও তিনি স্কুলের উদ্দেশ্যে বেড়িয়েছিলেন । একটি সিএনজিতে চড়েছিলেন তিনি । একাই ছিলেন গাড়িতে । আর এই সুযোগই কাজে লাগিয়েছিল চালক ।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শায়েস্তাগঞ্জ দেউন্দি সড়কপথ ধরে গাড়িটি শায়েস্তাগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল । কিন্তু ফরিদপুরের কাছে আসতেই চালক সুপ্তাকে স্কুল রোডে না নিয়ে অন্য রাস্তায় ঢুকে পড়ে । চালকের কু’অভিসন্ধি বুঝতে পেরে চলন্ত সিএনজি থেকে রাস্তায় ঝাঁপ দেন সুপ্তা । তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রেফার করে দেওয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে । সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই তরুনীর । এদিকে ঘটনার পর প্রায় ৪৮ ঘন্টা কেটে গেলেও চালকের হদিশ করতে পারেনি পুলিশ । শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল ইসলাম জানিয়েছে সিএনজি চালকের সন্ধান চলছে ।।