এইদিন ওয়েবডেস্ক,নরসিংদী(বাংলাদেশ),০৬ ডিসেম্বর : মাদ্রাসার ৯ বছরের আবাসিক ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশে । বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর ২০২২) বিকেলে বাংলাদেশের নরসিংদীর মাধবদী থানার মেহেরপাড়া ইউনিয়নের মাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার কুড়েরপাড় জামিয়া কওমিয়া মহিলা মাদরাসার তৃতীয় তলার বাথরুমে মাইশা আক্তার (৯) নামে ওই ছাত্রীটির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, শিশুটি আত্মহত্যা করেছে । যদিও এই অবান্তর দাবি মেনে নিতে পারেনি শিশুটির পরিবার । শনিবার (৩ ডিসেম্বর ২০২২) মাইশার বাবা মোহম্মদ নেছার উদ্দিন মাধবদী থানায় তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে একটি এফআইআর রজু করেছেন ।
জানা গেছে,কুড়েরপাড় জামিয়া কওমিয়া মহিলা আবাসিক মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল মাইশা আক্তার । পড়াশোনার সুবিধার জন্য ভগিরথপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহম্মদ নেছার উদ্দিন তাঁর মেয়েকে মাদ্রাসায় রেখে দিয়ে এসেছিলেন ।মাদ্রাসার দ্বিতীয় তলার একটি ঘরে সহপাঠিনীদের সঙ্গে থাকতো মাইশা ৷ বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই মাদরাসার তৃতীয় তলার বাথরুমে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় । এরপর পরিবারের কাউকে না জানিয়ে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মাইশাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় । পরে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে প্রচার শুরু করে দেয় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ।
কিন্তু একটি ৯ বছরের শিশু কেন ও কিভাবে আত্মহত্যা করল এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এলাকায় । এছাড়া শিশুটির ঠোঁট, কপাল, পিঠসহ একাধিক জায়গায় ক্ষত এবং আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে দাবি পরিবারের । পরিবারের অনুমান শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে । দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোমবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন ও মিছিল করে স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয়দের অভিযোগ, ইতিপূর্বেও একই মাদ্রাসায় এক কিশোরীর রহস্যমৃত্যু হয়েছিল । চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর একইরকমভাবে মাদরাসার তৃতীয় তলার বাথরুম থেকে ফাজিলের প্রথম বর্ষের ছাত্রী আফরিনের (১৬) ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল । তখনও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল ওই কিশোরী আত্মঘাতী হয়েছে । তবে পরিবারের অভিযোগ ছিল মেয়েটিকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে । যদিও ওই মামলা পরে ধামাচাপা পড়ে যায় ।।