এইদিন ওয়েবডেস্ক ইসলামাবাদ,১০ আগস্ট : বিশ্বে নৃসংসতার নজির সৃষ্টি করতে চলেছে ধর্ম উন্মাদ পাকিস্থান । মাত্র ৮ বছরের হিন্দু শিশুকে পড়তে হতে চলেছে মৃত্যুদন্ডের মুখে । শিশুর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে সে নাকি অধার্মিক আচরণ (Blasphemy) করেছিল । তাই তার বিরুদ্ধে পাকিস্থানের ‘Blasphemy law’-এর আওতায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে ।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আসলে ওই শিশুটির অপরাধ ছিল স্থানীয় একটি মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে গিয়ে সে পেচ্ছাপ করে ফেলেছিল ৷ তার এই অনিচ্ছাকৃত ভূলের জন্য ক্ষমা করেনি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ । ওই অপরাধের জন্য শিশুটিকে গ্রেফতারও করা হয় । ছোট্ট ওই শিশুটির বিরুদ্ধে পাকিস্থানের ‘Pakistan and Blasphemy Law’ এর আওতায় মামলা রজু করা হয়েছে । তার জেরে এক সপ্তাহ ধরে শিশুটি জেলে ছিল । সম্প্রতি জামিনে ছাড়া হয় শিশুটিকে । আর তাতেই খেপে যায় পাকিস্থানের রহিম খান জেলার মুসলিম কট্টরপন্থীরা । তারা প্রতিবাদ স্বরূপ দল বেধে স্থানীয় একটি গনেশ মন্দিরে গিয়ে হামলা পর্যন্ত চালায় । পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে যায় যে রহিম খান জেলায় আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হয় স্থানীয় প্রশাসনকে । যদিও শিশুটির নাম ও ঠিকানা প্রকাশ্যে আনেনি পাকিস্থানের পুলিশ ৷
শিশুর পরিবারের দাবি, ‘অধার্মিক আচরন আসলে কি সেটাই জানেনা ওই অবোধ শিশুটি । সম্পূর্ন অনৈতিকভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে ফাঁসানো হচ্ছে । এক সপ্তাহ ধরে তাকে জেলে রাখা হল । অথচ বাচ্ছাটা এখনও জানে না তার অপরাধটা আসলে কি ৷’ পাশাপাশি তাঁরা বলেন, ‘আমরা সবাই বাড়িঘর, ব্যাবসা ছেড়ে দিয়ে এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছি । সরকার অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যাবস্থা নেবে বলে মনে হয় না ৷ তাই আমরা হিন্দুরা এলাকায় আর ফিরতে চাই না ।’ এদিকে শিশুটিকে পাকিস্থানের এই অমানবিক আইনের আওতায় জড়ানোর তীব্র সমালোচনা করেছে মানবধিকার সংগঠন । শিশুটিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য সংগঠনের তরফ থেকে দাবি জানানো হয়েছে ।।