এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৯ আগস্ট : ঠাকুমার সঙ্গে বিয়ে বাড়িতে ভোজ খেতে গিয়েছিল ৫ বছরের শিশু । বিকেল নাগাদ ঠাকুমার হাত ধরে বাড়ি ফিরছিল সে । কিন্তু মাঝ রাস্তাতে বেপরোয়া গতির একটা খড় বোঝাই মোটর ভ্যান শিশুটিকে ধাক্কা দেয় । ভ্যানের চাকার তলায় পড়ে যায় শিশুটি । আর চাকার চাপে কোমড় থেকে দু’টুকরো হয়ে যায় ছোট্ট শিশুটির দেহ । আজ বুধবার বিকেলে সাড়ে চারটে নাগাদ পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় অগ্রদ্বীপ-বেথুয়াডহরি রোডে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনায় শিশুটির এমন মর্মান্তিক পরিনতি দেখে শিহরিত হয়ে ওঠে গোটা এলাকার মানুষ । পরে খবর পেয়ে অগ্রদ্বীপ পুলিস ক্যাম্প থেকে পুলিশ গিয়ে শিশুর দু’টুকরো কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় । ওই অবস্থাতেই শিশুটি কথাও বলে । কিন্তু হাসপাতাল পৌঁছনোর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে শিশুটি।
জানা গেছে,শিশুটির নাম চন্দন হালদার (৫)। কাটোয়ার অগ্রদ্বীপ গোপীনাথতলার বাসিন্দা আদিত্য হালদার ও চম্পা হালদারের দুই ছেলের মধ্যে ছোট চন্দন । হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ছোট্ট চন্দনের কোমড়ের উপরের অংশ জড়িয়ে ধরে অঝোরে কেঁদে যাচ্ছেন শিশুটির পিসিমা আদুরি হালদার । পাশে নাতির নিম্নাংশ জড়িয়ে ধরে শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছেন দাদু অর্জুন হালদার । ছেলের এই পরিনতি দেখে শোকে বিহ্বল আদিত্য বাবু ও চম্পাদেবী ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আদিত্যবাবুদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জনৈক এক প্রতিবেশীর বাড়িতে এদিন বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল । সকাল থেকেই ভোজ খেতে যাওয়ার জন্য বায়না করছিল চন্দন । কিন্তু ভোজ খেয়ে আর বাড়ি ফেরা হল না তার । দূর্ঘটনার পর নাতির দেহাংশ দুটি জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন ঠাকুমা পারুল হালদার । পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক মোটর ভ্যানটি আটক করা হয়েছে । চালক পলাতক । তার সন্ধান চলছে ।।