এইদিন ওয়েবডেস্ক,বীরভূম,২১ সেপ্টেম্বর : একটি নৃশংস হত্যাকান্ডের স্বাক্ষী থাকলো বীরভূমে জেলার শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রাম । জানা গেছে, রবিবার সকালে বিস্কুট কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল শিবম ঠাকুর নামে ৫ বছরের এক শিশু । মঙ্গলবার ওই শিশুর গলার নলি কাটা মৃতদেহ পলিথিনে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার হল প্রতিবেশী রুবি বিবির বাড়ি থেকে । এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা রুবিবিবির বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে । বিক্ষুব্ধ জনতা রুবির বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় । স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগ তুলেছেন । তাঁদের অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার ৫০ ঘন্টা পরেও শিশুটির কোনো সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ । পুলিশ অভিযুক্ত রুবি বিবিকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে । এই নৃশংস হত্যাকান্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী ।
এদিকে বুধবার নিহত শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মোলডাঙ্গা গ্রামের টালিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় । কিন্তু তার আগেই শতাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক জড়ো হয়ে সাংসদের কনভয় আটকে দেয় বলে অভিযোগ । শেষে তিনি শান্তিনিকেতন থানার সামনে বসে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন । পাশাপাশি তিনি অভিযোগ তোলেন পুলিশ পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল কর্মীদের দিয়ে তাঁদের পিছু হঠতে বাধ্য করছে ।
বিজেপি নেতা তথাগত রায় দলীয় সাংসদকে আটকে দেওয়ার ভিডিও টুইটারে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মোলডাঙ্গা গ্রামের একটি এসসি পরিবারের ৫ বছর বয়সী শিশু শুভম ঠাকুর বিস্কুট কিনতে বেরিয়েছিলেন এবং আর ফিরে আসেনি। প্রতিবেশী রুবি বিবির বাড়িতে তার গলা কাটা মৃতদেহ পাওয়া গেছে। বিজেপি সাংসদ লকেট চ্যাটার্জিকে পুলিশের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।’
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন,’বীরভূমের শান্তিনিকেতনের ৫ বছরের শিশু শিবম ঠাকুর কে অপহরণ করে খুন এবং পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতির কারণে বিধানসভার ভেতরে পুলিশমন্ত্রীর বিবৃতি দাবি করেছিলাম বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু বিধানসভার মাননীয় স্পিকার মহোদয় সেই বিষয়ে কোনরকম কর্ণপাত করেন নি। আমরা পরিষদীয় দলের বিধায়করা দায়িত্বশীল বিরোধী দল হিসেবে প্রতিবাদ জানিয়ে বিধানসভার ভেতরে ও বাইরে বিক্ষোভে সামিল হলাম ।’।