এইদিন ওয়েবডেস্ক,মঙ্গলকোট(পূর্ব বর্ধমান),২৪ মার্চ : বন্ধুর মৃত্যুর শোক সামলাতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হলেন ৩২ বছরের এক যুবক । পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার ষাঁড়ি গ্রামের ঘটনা । আজ রবিবার সকালে তীর্থ ঘোষ নামে ওই যুবককে তার নিজের ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ । পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা । পরে কাটোয়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর দেহটি সৎকার করা হয় । মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা গ্রাম ।
জানা গেছে,তীর্থ ঘোষেদের বাড়ির কিছুটা পাশেই বাড়ি ছিল তার বাল্যবন্ধু গৌড়হরি নাগের । গত ১৩ মার্চ রাত্রি ৯ টা নাগাদ ষাঁড়ি গ্রামের মোড়ের রাস্তা পারাপারের জন্য এক ধারে দাঁড়িয়ে ছিলেন দুই বন্ধু । সেই সময় একটা বেপরোয়া গতির মোটরসাইকেল গৌড়হরিককে সজোরে ধাক্কা দেয়। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে যান তীর্থ। রাতেই জখম গৌড়হরিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল।কিন্তু গত মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়৷
তীর্থ ঘোষের পরিবার সূত্রে জানা গেছে,ঘনিষ্ঠ বন্ধুর মৃত্যুর পর শোকে ভেঙে পড়েন তীর্থ । সারাদিন মনমরা হয়ে থাকতেন । খাওয়া দাওয়া এক প্রকার বন্ধ করে দিয়েছিলেন । এরপর শনিবার রাতে যথারীতি নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন তীর্থ । তার অনেক সকালে উঠে পড়ার অভ্যাস । কিন্তু আজ সকাল ৬ পর্যন্ত ছেলে ঘর থেকে বের হচ্ছে না দেখে তার বাবা-মা ডাকতে যান । কিন্তু তারা ছেলের কোনো সাড়াশব্দ পাননি । এরপর তারা দরজা খুলে ঘরে ঢুকতেই তীর্থকে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন ।
জানা গেছে,তীর্থ ঘোষরা দু’ভাই । সে ছোট । দাদা পার্থ ঘোষ বিবাহিত । তীর্থ একটা জুতোর দোকান চালাতেন । দাদা পার্থ ও বাবা কাশীনাথ ঘোষ চাষাবাদ করেন। মা অনিমাদেবী গৃহবধূ। সুখের সংসার । ছোট ছেলের মৃত্যুর পর বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন কাশীনাথ ও অনিমাদেবী ।।