এইদিন ওয়েবডেস্ক,উত্তর ২৪ পরগণা,০১ জুলাই : ৬ বছরের কন্যাসন্তানকে নিয়ে নিখোঁজ হওয়া ৩ দিন পরেও কোনো সন্ধান মেলেনি উত্তর ২৪ পরগণা জেলারবসিরহাট মহকুমার
হাসনাবাদের ২৫ বছর বয়সী বধূর । জানা গেছে,বেড়াচাঁপার দিদির বাড়িতে যাওয়ার নাম করে শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন শম্পা মণ্ডল নামে ওই গৃহবধূ । গত রবিবার দুপুর সাড়ে ৩টের নাগাদ হাসনাবাদ থানার আবাদ কুলিয়াডাঙ্গা গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে বের হয়ে আর তিনি ফেরেননি।
এদিকে মহিলা বাড়ি না ফেরায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দ্বারস্থ হন পরিবারের লোকজন । পাশাপাশি নিখোঁজ স্ত্রী ও সন্তানের খোঁজ না মেলায় হাসনাবাদ থানায় একটি নিখোঁজ ডাইরি করেন মহিলার স্বামী দিগ্বিজয় মণ্ডল। তিনি জানিয়েছেন, তার স্ত্রীর পরণে ছিল সবুজ রঙের শাড়ি, ৫ ফুট উচ্চতা, গায়ের রঙ ফর্সা । পাশাপাশি নিজের ফোন নম্বরও শেয়ার করেছন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
উল্লেখ্য, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায় বিভিন্ন বয়সের নারীদের নিখোঁজ হয়ে যাওরার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । পুলিশ জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে শুধুমাত্র বারাসাত মহকুমা এলাকা থেকে মোট ৫৩৬ জন তরুণী নিখোঁজ হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই গৃহবধূ। অর্থাৎ নিখোঁজ হয়েছেন প্রায় ৫০০ বিবাহিত নারী ।
পুলিশের দাবি,নিখোঁজ নারীদের মধ্যে এমন অনেক গৃহবধূ রয়েছে যারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে স্বামী ও সন্তানদের ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছেন । মোবাইল ফোন ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তৈরি হওয়া প্রেম থেকে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তাদের । কেউ কেউ প্রেমিকের ঝাঁচকচকে বাইক দেখে প্রলুব্ধ হয়ে সংসার ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরেছেন ।কেউবা স্বামীরই বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে গড়ে তোলা পরকঈয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ । তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মহিলাদের পরপুরুষের সম্পর্ক গড়ে ওঠার প্রধান কারন হল ফেসবুক, টিকটক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি ৷ এমনকি শুধু স্বামীই নয়, একাধিক সন্তানকে ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে পালানোর নজিরও কম নয় ।
তবে আরও একটা অবাক করে দেওয়ার মত ঘটনা হল যে পুলিশ যখন পরিবারের আবেদন ক্রমে মহিলাদের ফিরিয়ে আনতে যায় তখন তারা সাফ জানিয়ে দেয়,’আমি প্রাপ্তবয়স্ক, নিজের জীবন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার আমাদের রয়েছে। প্রেমিকের সঙ্গে ভালোই আছি৷’ ফলে আইনত পুলিশের আর কিছুই থাকে না এবং খালি হাতেই ফিরে আসতে হয় । তবে এই প্রবণতা রুখতে পুলিশও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে । তার মধ্যে সচেতনতামূলক প্রচার ও নজরদারি বৃদ্ধি ।।

