জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী,বর্ধমান,২৬ ফেব্রুয়ারী : আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির হাত ধরে মানুষ আজ পৌঁছে গেছে রহস্যে ভরা মহাকাশে। সম্পদের খোঁজে নেমে পড়েছে অতল সমুদ্রের গভীরে। দুরারোগ্য ব্যাধি তার কাছে পরাস্ত। নিত্য নতুন আবিষ্কার তার জীবনযাত্রার মানকে অনেক উন্নত করেছে। পৃথিবীর সব সৌন্দর্য ধরা পড়েছে তার কাছে।
কিন্তু আজও মানুষ আবিষ্কার করতে পারেনি রক্তের বিকল্প। মুমূর্ষু রুগীর প্রাণ বাঁচে মানুষের দেওয়া রক্তে। বাধ্য হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আয়োজন করতে হয় ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান’ শিবিরের। কুসংস্কার ও ভীতি কাটিয়ে বহু মানুষ এগিয়ে এলেও প্রয়োজনের তুলনায় সংগৃহীত রক্তের পরিমাণ অনেক কম। বিশেষ বিশেষ ঋতুতে রাজ্যের ব্লাড ব্যাংকগুলিতে রক্তের ঘাটতি দেখা যায়। আবার রাজ্যজুড়ে যারা এইসব শিবিরের আয়োজন করে তাদের মধ্যে সমন্বয় নাই।
এরকম হাজারো সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে ‘বিন্দু বিন্দু দিয়ে বাঁচাবো লক্ষ প্রাণ’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে আগামী ২ ও ৩ মার্চ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ অডিটোরিয়াম হলের অধ্যাপক দেবব্রত রায় মঞ্চে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে দু’দিন ব্যাপী রাজ্য সম্মেলন।
‘ওয়েষ্ট বেঙ্গল ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি’-র উদ্যোগে এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স সোসাইটি ও বর্ধমান ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহযোগিতায় আয়োজিত এই সম্মেলনের মূল লক্ষ হলো পশ্চিমবঙ্গে স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনকে আরও সবল ও গতিশীল করা এবং এই কর্মকান্ডের সঙ্গে যেসব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যুক্ত আছে তাদের উৎসাহ দেওয়া। পাশাপাশি সারা রাজ্যজুড়ে কিভাবে আরও বেশি করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা যায় সেটা নিয়ে পথ খোঁজা।
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সৌগত গুপ্ত বললেন, ‘আমাদের কাছে বহু মানুষ রক্তের জন্য আসেন। কিন্তু রক্তের অভাবের জন্য সবসময় আমরা রক্ত সংগ্রহ করে দিতে পারিনা। এরজন্য দরকার আরও বেশি করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা। এই রাজ্য সম্মেলনকে সফল করার জন্য তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোকে আহ্বান জানান। পাশাপাশি রক্তদান শিবিরে গিয়ে রক্তদান করার জন্য তিনি সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন জানান।’।