এইদিন ওয়েবডেস্ক,সিন্ধু(পাকিস্তান),০৮ আগস্ট : ফের পাকিস্তানে এক নাবালিকা হিন্দু কিশোরীকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে । মেয়েটিকে অপহরণের পর জোর করে মধ্য বয়স্ক এক মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে হিন্দুদের ‘বধ্যভূমি’ বলে পরিচিত পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে । বছর ১৬ বয়সের অপহৃতা কিশোরীর নাম মরিয়ম কোলহি(Maryam Kolhi) । তাকে ইয়ার মহম্মদ (Yar Muhammad) নামে পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তির সঙ্গে ‘নিকাহ’ করতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ।
ওই কিশোরীকে দিয়ে স্বাক্ষর ও টিপসই দেওয়ানো ইংরাজিতে লেখা নিকাহনামা বা কাবিননামায় লেখা হয়েছে যে আমি উমেরকোট(Umerkot) জেলার পিথারো(Pithoro) তালুকের মারিয়েম নগর (Mareym Nagar) গ্রামের বাসিন্দা, বর্তমান ঠিকানা মিরপুরখাস(Mirpurkhas) । আমার বাবার নাম মাল কোলহি(Rano Mal Kolhi),স্বামী মহম্মদ ইউসুফের(Muhammad Yusuf) ছেলে ইয়ার মহম্মদ । আমার জন্ম ১২/০৩/২০০৬ তারিখে । আমি শারিরীক ও মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ।’
কিশোরীকে দিয়ে আরও বলানো হয়েছে যে উমেরকোট(Umerkot) জেলার হাজি জাফর(Haji Jaffar) গ্রামের বাসিন্দা ইয়ার মহম্মদ খুব ভালো মানুষ এবং সে আমাকে ভালোবাসে । কিন্তু আমার পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেয়নি । তাই আমি বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে তাকে আমি নিকাহ করেছি । কেউ আমাকে অপহরণ বা জোরজবরদস্তি করেনি ।’ কিশোরীকে দিয়ে বলানো হয়েছে,যদি তার বাবা,ভাই বা কোনো সংগঠন তার স্বামীর বিরুদ্ধে এফ আই আর রজু করে তাহলে তা যেন মিথ্যা বলে বিবেচনা করা হয় ।’ তবে শুধু নিকাহনামাতে স্বাক্ষরই নয়, ওই কিশোরীকে দিয়ে একটি লিখিত বয়ান পাঠ করিয়ে তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করাও হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, মরিয়ম কোলহি ও তার ভাই রমেশ কোলহি দু’জনেই মিরপুরখাসের একটা স্কুলে পড়াশোনা করত । ঘটনার দিন স্কুলের পর ভাইয়ের সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল মরিয়ম । সেই সময় তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি চারচাকা গাড়িতে করে সেখানে আসে স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ কানভার, ইউসুফ নোহরি, মুশতাক লেঘারিসহ আরও কয়েজন । তারা আগ্নেয়াস্ত্র বের করে ভাইকে গুলি করে মারার ভয় দেখিয়ে মরিয়মকে তুলে নিয়ে যায় । এনিয়ে স্থানীয় থানায় নির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করেছিল পরিবার । কিন্তু পাকিস্তানি মৌলবাদী পুলিশ যথারীতি হাত গুটিয়ে বসে থাকে । শেষে তারা মিরপুরখাসের প্রেসক্লাবের দ্বারস্থ হয়েছিল । এদিকে ওই হিন্দু কিশোরীকে জবরদস্তি বিয়ে করতে বাধ্য করা হয় ।।