এইদিন ওয়েবডেস্ক,কলকাতা,১০ ফেব্রুয়ারী : সন্তানদের সবচেয়ে ভরসার জায়গা হল তাদের বাবা-মা । কিন্তু কখনো কখনো সেই বাবারই যৌন লালসার শিকার হতে হচ্ছে মেয়েদের। পিছিয়ে নেই মায়েরাও । মাত্র ক’টা টাকা উপার্জনের জন্য নিজের মেয়েকেই বিক্রি করে দিল এক মহিলা । মাত্র দু বছরের ব্যবধানে দু-দুবার নিজের মেয়েকে পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দিল মাতৃজাতির কলঙ্ক ওই মহিলা ।এদিকে খরিদ্দারদের লালসা পূরণ করতে গিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল ছোট্ট মেয়েটির । ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের রাজধানী শহর কলকাতার নারকেলডাঙা থানা এলাকায় ।
সংবাদপত্র প্রতিদিনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরীকে সর্বপ্রথম বিহারের মুজফ্ফরপুরে একটি যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেয় তার মা । যদিও পরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তৎপরতায় মেয়েটিকে উদ্ধার করে কলকাতায় ফিরিয়ে আনে নারকেলডাঙ্গা থানার পুলিশ । সংগঠনের তরফে নারকেলডাঙ্গা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল । বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে বিচারক সেই মায়ের হাতেই তুলে দেয় মেয়েটিকে । মেয়েটিকে হোমে না পাঠিয়ে মায়ের হাতে তুলে দেওয়ায় তখন হতবাক হয়ে যায় সকলে ।
সকলের আশঙ্কাকে সত্য প্রমাণিত করে ২০২২ সালে নিজের কিশোরী মেয়েকে উত্তর কলকাতার বড়তলার সোনাগাছি অঞ্চলের যৌনপল্লিতে চড়া দামে বিক্রি করে দেয় নারকেলডাঙার বাসিন্দা ওই মহিলা । সোনাগাছিতে কিশোরীর ওপর অবর্ণনীয় যৌন এবং শারীরিক নির্যাতন চলে । তখনই মেয়েটি দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয় । এমনকি সে অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে । এরপর মেয়েটিকে নারকেলডাঙ্গায় তার মায়ের বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে আসে নিষিদ্ধ পল্লীর মালকিন। খবর পেয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার লোকজন গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করে । কিন্তু ভেন্টিলেশনে চিকিৎসা চলার সময় বুধবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় মেয়েটির । প্রতিবেদন অনুযায়ী,লালবাজার থানা জানিয়েছে অভিযোগ পেলেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । এদিকে ওই নরাধম মায়ের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবি উঠছে । পাশাপাশি মেয়েটির মৃত্যুর পর রাজ্যের আদালতের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন । মেয়েটিকে প্রথমবার উদ্ধার করার পর তাকে হোমে না পাঠিয়ে কেন তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হল এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে না অনেকে ।।