এইদিন ওয়েবডেস্ক,বাংলাদেশ,২০ জুলাই : খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া এলাকায় ১৪ বছরের এক হিন্দু কিশোরীকে গনধর্ষণ করেছিল বিএনপির ৬ জিহাদি । ওই ঘটনার পর নির্যাতিতা মেয়েটি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে । বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েটি খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বাংলাদেশের মাগুরা জেলার মুহাম্মদপুর উপজেলায় বান্ধবীর দাদার দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৮ বছরের এক হিন্দু মেয়ে ৷ জানা গেছে,মেয়েটি তার বান্ধবী সিনথিয়ার সাথে খেলতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিল । সেই সুযোগে সিনথিয়ার দাদা মহম্মদ সৈয়দ আলী এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটায় !
এদিকে খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়া এলাকার ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ জুন । মেয়েটি আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল । সেই সময় বিএনপির ৬ জঙ্গি তার উপর পর্যায়ক্রমে পাশবিক নির্যাতন চালায় । মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, ঘটনার পর ভয়ে মেয়েটি প্রথমে পরিবারকে কিছু জানায়নি। কিন্তু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গত ১২ জুলাই বিষপান করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরার পর পরিবারের কাছে মেয়েটি গনধর্ষণের ঘটনা জানায়। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রিপল বাপ্পি চাকমা বলেন, ‘মেয়েটির অবস্থা এখনও গুরুতর এবং সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।’
খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানার ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। পরে রাত ৩টার দিকে অভিযান চালিয়ে পুলিশ ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতরা হল : খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের আরমান হোসেন (৩২), ইমন হোসেন (২৫), এনায়েত হোসেন (৩৫), সাদ্দাম হোসেন (৩২)। বাকি দু’জন পলাতক । তাদের নাম মহম্মদ সোহেল ইসলাম (২৩) ও মহম্মদ মুনির ইসলাম (২৯)।
গ্রেপ্তারের পর ধৃত ৪ আসামিকে প্রিজন ভ্যানের মধ্যে হাসি মুখে দেখতে পাওয়া যায় । সেই ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের অনুমান যে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনাকেও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার বিএনপি সুপ্রিমো খালেদা জিয়ার চাপে ধামাচাপা দিয়ে দেবে৷ এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এই ঘটনায় শনিবার বাংলাদেশের অন্তত চারটি জেলায় বিক্ষোভ হয়েছে। সমাবেশে বক্তারা ধর্ষণে অভিযুক্তরা বিএনপির পদধারী দাবি করে বলেন, ‘দেশে এখন পর্যন্ত ধর্ষণের কোনো বিচার না হওয়ায় ধর্ষণের হার বেড়েছে।’ তবে আসামিরা বিএনপির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় বলে দাবি করেন খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এন আফছার। তিনি বলেন, ‘ধর্ষক যে দলের হোক না কেন বিচার হওয়া জরুরি। ঘটনা শোনার পরপরই আমি ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছি এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি।’।