এইদিন ওয়েবডেস্ক,ইসলামাবাদ,১৪ অক্টোবর : পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের জ্যাকোবাবাদ এলাকায় ১৩ বছর বয়সী এক শিখ কিশোরকে তিনজন মুসলিম ব্যক্তি মিলে গণধর্ষণ করেছে । অভিযুক্তরা মোটরসাইকেল কেনার অজুহাতে প্রথমে কিশোরকে কাছাকাছি পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (PTCL) অফিসে নিয়ে যায় । তারপর আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে তিন বিকৃতকাম নরপশু মিলে কিশোরকে গনধর্ষণ করে । এনিয়ে নির্যাতিত কিশোরের পরিবার থানায় এফআইআর দায়ের করেছে । ধর্ষকদের মধ্যে মহসিন জামাইল ও সিদ্দির নামে দু’জনকে সিভিল লাইন থানার পুলিশ গ্রেফতারও করেছিল । কিন্তু ওই দু’জন থানা থেকে পালিয়ে যায় । ফলে পুলিশের ভূমিকায় সন্দেহ প্রকাশ করেছে স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ । বর্তমানে কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ।
তবে এই ঘটনা প্রথম নয়, এর আগেও এক হিন্দু কিশোরকে গনধর্ষণের পর খুনের ঘটনা ঘটেছিল পাকিস্থানের সিন্ধুপ্রদেশে । ২০২১ সালের নভেম্বরে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রকে অপহরণ করে গনধর্ষণের পর খুন করেছিল বিকৃতকাম মুসলিম ব্যক্তিরা । কয়েক ঘণ্টা পর বাড়ি থেকে কিছু দূরে বছর এগারোর ওই কিশোরের মৃতদেহ পাওয়া যায় ।
প্রসঙ্গত,পাকিস্থানের সিন্ধু প্রদেশকে সংখ্যালঘু হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের বধ্যভূমি বলা হয়ে থাকে । সিন্ধু প্রদেশের থার, উমরকোট, মিরপুর খাস, ঘোটকি এবং খায়রপুরের মতো এলাকায় এখনও অল্প বিস্তর হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে । তাদের নিশ্চিহ্ন করতে মেয়েদের লাভ জিহাদের শিকার বানানো,জোর করে ধর্মান্তরিত করার মত ঘটনা আকছার ঘটে থাকে । আর এতে প্রচ্ছন্ন সায় রয়েছে পাকিস্থানের শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির । কারন ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সিন্ধু বিধানসভায় হিন্দু মেয়েদের ধর্মান্তর রোখার জন্য একটি প্রস্তাব এসেছিল । কিন্তু বিলটি বেশ কয়েকবার অ্যাসেম্বলি কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে । আর এতেই প্রমানিত যে পাকিস্থানে সংখ্যালঘু শুণ্য করার ষড়যন্ত্রে সামিল রয়েছে পাকিস্থানের শাসনযন্ত্র ।।