এইদিন ওয়েবডেস্ক,ওড়িশা,০৭ সেপ্টেম্বর : মাদ্রাসায় ১৩ বছরের কিশোরকে যৌন নির্যাতনের পর পিটিয়ে শৌচাগারের ট্যাঙ্কে ফেলে দিল সহপাঠীরা । ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার নয়াগড় জেলার নীলাপল্লির একটি মাদ্রাসায় । মৃত কিশোর ও তার যৌন নির্যাতন ও হত্যাকারীরাও একই মাদ্রাসার পড়ুয়া । মৃতের সাথে পড়া সিনিয়র ছাত্রদের বিরুদ্ধে খুন ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তরা সকলেই নাবালক। শুধু তাই নয়, মূল অভিযুক্ত দ্বিতীয়বারও মৃত কিশোরকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। প্রথমবার অভিযুক্ত মৃত ভেবে তাকে ছেড়ে চলে যায়, কিন্তু সে কোনওভাবে পালিয়ে যায়। এর পরে অভিযুক্তরা আবার তাকে নিশানা করে।
মৃত কিশোর মূলত কটক জেলার আঠগড়ের বাসিন্দা এবং নীলাপল্লির ওই আবাসিক মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত । অভিযোগ করা হয়েছে যে তার কিছু সিনিয়র ছাত্র দীর্ঘদিন ধরে তাকে যৌন নির্যাতন করে আসছিল । মৃতের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের করা এফআইআর অনুসারে, ৩১শে আগস্ট দুপুর ১টার দিকে অভিযুক্তরা তার ছেলেকে যৌন নির্যাতন করে এবং তারপর তাকে নির্মমভাবে মারধর করে। যখন তারা ভেবেছিল যে তার ছেলে মারা গেছে, তখন তারা তাকে মাদ্রাসার একটি পরিত্যক্ত শৌচাগারের ট্যাঙ্কে ফেলে দেয় এবং সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
তবে অবাক করার মতো বিষয় হলো, মামলার প্রধান আসামি নিজেই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের কাছে যায় এবং তাকে জানান যে ওই কিশোর নিখোঁজ হয়ে গেছে । কিন্তু কোনওভাবে ভুক্তভোগীর জীবন রক্ষা পায় এবং সে সেই ট্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে আসে। অভিযুক্তরাও এই তথ্য পেয়ে যায়। এরপর, গত ২ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে, তারা কোনও অছিলায় তাকে আবার একই ট্যাঙ্কে নিয়ে যায় এবং আবারও যৌন নির্যাতন করে। এবার অভিযুক্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ একই টয়লেট ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়।
পুলিশ প্রধান অভিযুক্তকে শনাক্ত করেছে। তার বয়স ১৫ বছর। তাকে সহায়তাকারী দুই অভিযুক্তের বয়স ১৪ এবং ১৩ বছর, অন্য দুজনের বয়স ১২ বছর। তারা সকলেই খোরধা জেলা এবং রণপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। সাক্ষীদের জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশের মতে, জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা হত্যা এবং মৃতদেহ লোপাট করার চেষ্টা কথা স্বীকার করেছে। মাদ্রাসার ভর্তি রেজিস্টার থেকে তাদের নাম মুছে ফেলা হয়েছে। তাদের জন্ম সনদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মামলাটি জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানা গেছে ।।