এইদিন ওয়েবডেস্ক,গাজিয়াবাদ(ইউপি),২৭ সেপ্টেম্বর : বিড়ি পানে বাধা দেওয়া ও মারধর করার প্রতিশোধ নিতে ঘুমন্ত অবস্থায় এক মৌলবীর গলা করাত দিয়ে কেটে দিল ১২ বছর বয়সী মাদ্রাসার এক পড়ুয়া । উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনা । গুরুতর জখম অবস্থায় আস মোহাম্মদ নামে ওই মৌলবীকে হাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে অবৈধভাবে মাদ্রাসা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে মোদীনগর শহরের ভোজপুর থানা এলাকার তেওধি ১৩ বিশ্ব গ্রামে । গ্রামের ওই মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করা হয়। হামলালারী ১২ বছরের কিশোর ওই গ্রামেরই বাসিন্দা । সে মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র । দিন দুয়েক আগে ওই কিশোর ক্লাসে বসে বিড়ি পান করছিল । সেটা মাদ্রাসার মওলানা আস মোহম্মদ দেখে ফেলেন । আস মোহাম্মদ ওই কিশোরকে বিড়ি পানে বাধা দেয় এবং তাকে মারধর করে। মওলানা কিশোরকে আবার বিড়ি না পান করার জন্যও সতর্ক করে দেন। এতে ছাত্রটি চরম ক্ষুব্ধ হয়। এরপর রাতে আস মোহাম্মদ যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন তখন কিশোর মাদ্রাসায় গিয়ে ঘরে ঢুকে করাত দিয়ে তার গলা কেটে ফেলে। অতর্কিত হামলার কারণে মওলানা আস মোহাম্মদ চিৎকার শুরু করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।তারা দেখে, মওলানার গলা থেকে প্রবল রক্তক্ষরণ হচ্ছে । এরপর গুরুতর আহত মওলানাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দারা ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাজিয়াবাদ থানার পুলিশ। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ছাত্রকে হেফাজতে নেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা করাত উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও এনিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি । মোদীনগরের এসিপি জ্ঞান প্রকাশ রাই জানিয়েছেন, মওলানা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। এই বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে ৷।