এইদিন ওয়েবডেস্ক,হরিশ্চন্দ্রপুর(মালদা),২৬নভেম্বর : দীর্ঘদিন ধরেই প্রধান পঞ্চায়েত অফিসে আসছেন না । অনিয়মিত পঞ্চায়েতের সম্পাদকও । ফলে রাজ্য সরকারের স্কলারশিপ ফর্মে প্রধানের স্বাক্ষরের জন্য দিনের পর দিন ঘুরে যেতে হচ্ছিল এলাকার পড়ুয়াদের । এদিকে ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন এগিয়ে আসছে । শুক্রবারও বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী প্রধানের স্বাক্ষরের জন্য পঞ্চায়েত অফিসে আসে । যথারীতি এদিনও প্রধান ও সম্পাদক অনুপস্থিত ছিলেন । শেষে ক্ষিপ্ত ছাত্রছাত্রীরা পঞ্চায়েতের ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে দেয় । ঘটনাটি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের । ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায় । শেষ পর্যন্ত ব্লক প্রশাসনের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে ।
জানা গেছে,মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ চালু করেছে রাজ্য সরকার । সম্প্রতি স্কুল চালু হওয়ার পর পড়ুয়াদের মধ্যে সেই ফর্ম বিলি করা হয়েছে । অনান্য প্রমানপত্রের পাশাপাশি ফর্মে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক । ভালুকা পঞ্চায়েত এলাকার মোহিনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া তাপস মণ্ডল,ওমপ্রকাশ রাম,রাজ শেখর রায়রা বলেন, ‘মঙ্গলবার স্কলারশিপের ফর্ম জমা দেওয়ার শেষ দিন । ফর্ম জমা দিতে আমাদের হরিশ্চন্দ্রপুর বিডিও অফিসে যেতে হবে । কিন্তু প্রধানের স্বাক্ষর না হওয়ার কারনে আমরা ফর্ম জমা দিতে পারছি না । প্রায় ১৫ দিন ধরে পঞ্চায়েতে আসা যাওয়া করছি । কিন্তু প্রধান সাহেব মিনু মুসাহারের দেখাই পাচ্ছি না । যদি পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি থাকতেন তাহলেও কাজ হত । কিন্তু উনিও অনিয়মিত । তাই বাধ্য হয়ে এদিন আমরা পঞ্চায়েত ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছি । ফর্মে পঞ্চায়েতের স্বাক্ষর না হওয়া পর্যন্ত আমরা গেটের তালা খুলতে দেবো না ।’
জানা গেছে,পড়ুয়াদের বিক্ষোভের জেরে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম শিকেয় ওঠে । শেষে খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন । তাঁরা ছাত্রদের আশ্বাস দিলে ঘণ্টাখানেক পরে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয় । যদিও এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি পঞ্চায়েত প্রধান ও পঞ্চায়েত সেক্রেটারি ।।