আমিরুল ইসলাম,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),২৩ নভেম্বর : বাবা-মা খেতমজুরের কাজ করেন । সকালেই তাঁরা মাঠে কাজে চলে যান । বাড়িতে একাই ছিল তাঁদের কিশোরী মেয়ে । সেই সুযোগে বাড়িতে ঢুকে মেয়েটির শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠল এক ভিন জেলার বাসিন্দা এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার থানার কুড়ুম্ব গ্রামে । মঙ্গলবার এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা কিশোরীর পরিবার । পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্ত পলাতক । তার সন্ধান চলছে ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, কুড়ুম্ব গ্রামের বাসিন্দা ওই কিশোরী বাসুদা হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে । অন্যদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি মুর্শিদাবাদ জেলায় । সে কাঠমিস্ত্রির কাজ করে । ভাতার থানার গর্দানমারি এলাকায় ভাড়া থাকে । সেখানেই কাঠের চৌকি তৈরি করে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বেড়ায় । সপ্তাহ খানেক আগে মেয়েটির বাড়িতে একটি চৌকি বিক্রি করেছিল ওই কাঠের মিস্ত্রি । সেই সুত্রে পরিচয় । তারপর থেকে গ্রামে গেলেই মেয়েটির বাড়িতে দেখা করতে যেত । কিশোরী তাকে ‘কাকু’ সম্বোধন করত । কিন্তু তার ‘কাকু’র মনে যে কুমতলব আছে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি ওই কিশোরী ৷
জানা গেছে,এদিন কিশোরীর বাবা-মা মাঠে ধান কাটার কাজ করতে গিয়েছিল । সেই সুযোগে তাদের বাড়িতে আসে অভিযুক্ত ব্যক্তি । তারপর কিশোরীকে সে নানা ভাবে হেনস্ত করতে থাকে । শ্রীলতাহানী করে । তখন ওই কিশোরী চিৎকার শুরু করে দেয় । তার চিৎকার শুনে পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে যায় । কিন্তু তার আগেই চম্পট দেয় অভিযুক্ত ব্যক্তি ।
এদিন বেলার দিকে নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা ভাতার থানায় এসে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কিশোরীর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা ।।