এইদিন ওয়েবডেস্ক,দক্ষিণ ২৪ পরগনা,১০ ডিসেম্বর ঃ দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবারে দলের সাংগঠনিক সভায় যোগ দেওয়ার পথে আক্রান্ত হলেন বিজেপির একাধিক শীর্ষস্তরের নেতারা । আধলা ইঁট ও পাথরের টুকরো ছুড়ে ভেঙে দেওয়া হল কৈলাস বিজয়বর্গীয়র গাড়ির উইন্ড স্ক্রীন । আক্রান্ত হয়েছে মুকুল রায়,অনুপম হাজরার গাড়িও । অভিযোগ, বিজেপির এই সমস্ত শীর্ষ নেতৃত্বের গাড়ির উপর ইঁট-পাথর নিয়ে হামলা চালায় তৃনমুলের একদল কর্মী ও সমর্থক । এমনকি একটা আধলা ইঁট কৈলাস বিজয়বর্গীর গাড়ির কাঁচ ভেঙে ভিতরে এসে পড়ে । অল্পের জন্য রক্ষা পান তিনি । এই ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় ৷
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের সুলতানপুরে সাংগঠনিক সভার আয়োজন করেছিল বিজেপি । ওই সভাস্থলে কিছুটা দুরেই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সভার আয়োজন করা হয়েছিল । কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন তৃণমূল কর্মী ও সমর্থকরা ।
কৈলাশ বিজয়বর্গীর গাড়িতে হামলার দৃশ্য :
জানা গেছে,বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয় সুলতানপুর যাওয়ার পথে শিরাকোল মোড়ে আটকিয়ে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। ঠিক তার পিছনেই ছিল মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অনুপম হাজরার গাড়ি । ফলে তাঁদের গাড়িও আটকে পড়ে । তাঁদের গাড়ির সামনে নিজেদের দলের নামে ‘জিন্দাবাদ’ শ্লোগান দিতে থাকে তৃনমুল কর্মীরা । শেষে পুলিস হস্তক্ষেপ করলে জেপি নাডডার গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয় ।
জানা গেছে,জেপি নাড্ডার কনভয় বেড়িয়ে যাওয়ার পর বাইক আরোহী বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সেখানে পৌঁছয় । ফলে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে ওঠে । বিজেপি কর্মীদের
সঙ্গে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের । কয়েকজন মারধর করা হয় বলে । পাশাপাশি কৈলাস বিজয়বর্গীয় ,মুকুল রায়, অনুপ হাজার ,গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট, পাথর ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় তৃনমুল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
এদিকে তারই মধ্যে সুলতানপুরে সাংগঠনিক সভায় পৌঁছে তৃণমূল সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমন করেন জে পি নাড্ডা । তিনি বলেন, ‘পথে যে দৃশ্য আমি দেখেছি তাতে স্পষ্ট মমতার শাসনে বাংলা অরাজকতা ও অসহিষ্ণুতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে । মা দুর্গার আশীর্বাদে আজ আমি এখানে পৌঁছতে পেরেছি । রাজ্যে জঙ্গলরাজ চলছে । কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহার গাড়ির অবস্থা দেখুন । আমার বুলেট প্রুফ গাড়ি ছিল বলে বেঁচে গেছি।’
তিনি বলেন, ‘এখানে পুলিশ-প্রশাসনের রাজনীতিকরণ হচ্ছে । এটা লজ্জার। প্রশাসন নেই রাজ্যে। প্রশাসন ভেঙে পড়েছে । কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে বাংলায় ঘোরা যাবে না।’ সেই সঙ্গে তিনি তৃনমুল সরকারকে “চালচোর”, “ত্রিপল চোর”বলে কটাক্ষ করেন ।।