এইদিন ওয়েবডেস্ক,মুরাদাবাদ,২২ নভেম্বর : বাইক দূর্ঘটনার পর যুবককে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা হয়েছিল । কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । তখনও পর্যন্ত যুবকের কোনও পরিচয় জানা যায়নি । তাই মৃতদেহ রাখা হয়েছিল হাসপাতালের মর্গের ফ্রিজারের মধ্যে । পরে যুবকের পরিচয় জানা গেলে ঘন্টা সাতেক পর ফ্রিজার থেকে বের করে মৃতদেহ পরিবারকে হস্তান্তর করা হয় । আর তখনই পরিবারের লোকজন লক্ষ্য করেন মৃতদেহটি নড়াচড়া করছে । বিস্ময়কর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে । ঘটনার পর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফেলতির অভিযোগ তুলেছেন । যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি চিকিৎসায় কোনও গাফেলতি ছিল না ।
একটি সর্বভারতীয় ইংরাজী সংবাদপত্রের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে,উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা ওই যুবকের নাম শ্রীকেশ কুমার । দূর্ঘটনার ঘটনাটি ঘটে গত বৃহস্পতিবার । রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি বেপরোয়া গতির মোটর সাইকেলের শ্রীকেশকে সজোর ধাক্কা মারে । গুরুতর জখম হন ওই যুবক । স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে রক্তাক্ত সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে মোরাদাবাদ জেলা হাসপাতালে আনে । কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন । পরের দিন হাসপাতালের কর্মীরা লাশটি মর্গের ফ্রিজারের মধ্যে রাখে দেয় ।
পুলিশ সুত্রে খবর,যুবকের পরিচয় জানার পর পরিবারকে খবর দেওয়া হয় । পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে হাসপাতালে আসে । সনাক্ত করার জন্য মৃতদেহ ফ্রিজ থেকে বের করে পরিবারের লোকজনদের দেখানো । তারপর ময়নাতদন্তের সম্মতি নেওয়ার জন্য পরিবারের এক সদস্যকে কাগজপত্রে সই করার জন্য বলা হয় । সেই সময় পরিবারের বাকি সদস্যদের নজরে পড়ে মৃতদেহ নড়াচড়া করছে । এই কথা শুনে চিকিৎসক দল যখন যুবকের দেহ পরীক্ষা করেন তখন তাঁদের চোখ কার্যত কপালে উঠে যায় । দেখেন যুবকের হৃৎপিন্ডের স্বাভাবিক স্পন্দন হচ্ছে । ফলে ফের যুবককে হাসপাতালে ভর্তি করে নেওয়া হয় । বর্তমানে মেরঠের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই যুবক । তাঁর শারিরীক অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে বলে ওই সংবাদপত্রের প্রতিবেদন সুত্রে জানা গেছে । এদিকে পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফেলতির অভিযোগ তুলে এনিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ।
অন্যদিকে চিকিৎসায় গাফেলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ শিব সিং । তিনি বলেন, ‘ওই কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ওই ব্যক্তিকে পরীক্ষা করেন । তখন তাঁর হৃদস্পন্দন হচ্ছিল না । বেশ কয়েকবার পরীক্ষা করার পরে তবেই দূর্ঘটনাগ্রস্থ ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয় । কিন্তু পুলিশের একটি দল ও ওই ব্যক্তির পরিবার তাকে জীবিত দেখতে পায় । এটি একটি বিরল ঘটনা ।’তবুও ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে তিনি জানান ।।