প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,২১ নভেম্বর :পূজার্চনার ফুল পাওয়ার জন্য বাড়ি মালিক তাঁর বাড়ির বাগানে লাগিয়ে ছিলেন একটি টগর ফুলের গাছ ।কিন্তু সেই গাছে টগর ফুল না ফুটে ফুটেছে জবা ফুল। আর সেই কথা জানাজানি হতেই বরিবার সকাল থেকে তুমুল শোরগোল পড়ে যায় পূর্ব বর্ধমানের কালনার পূর্বস্থলীতে । টগর গাছে জবা ফুল ফোটা দেখতে এলাকার প্রচুর মানুষ ভিড় জমান পূর্বস্থলীর কৈবর্ত্যপাড়ার শম্ভু ঘোষের বাড়িতে । সত্যসত্য যাচাইয়ের জন্য কেউ ওই টগর গাছটির একেবারে কাছে গিয়ে ফুলটি দেখেন টগর গাছে জবার ডালের ’কলম ’বাঁধা হয়েছিল কি না । আবার কেউ জবা ফুলটিকে নাড়িয়ে দেখে বলে ওঠেন সত্যি সত্যি টগর গাছেই ফুটেছে জবা ফুল ।
বেলা বাড়তেই এই ঘটনা নিয়ে পূর্বস্থলীতে ছড়িয়ে পড়ে নানা গুঞ্জন। টগর ফুল গাছে জবা ফুল ফোটার ঘটনাকে অলৌকিক ঘটনা বলে কেউ বলতে শুরু করে দেন।অনেকে আবার বলা শুরু করেন দেবী মহিষমর্দিনীর কৃপায় টগর গাছে জবা ফুল ফুটেছে । দেবী মহিষমর্দিনীর অনেক ভক্তও কৈবর্ত্যপাড়ার
ঘোষ বাড়িতে ছুটে যান । তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ হাতজোড় করে জবা ফুলটিকে প্রণাম করেন। অনেক ভক্ত আবার মানতও করে বসেন। সব মিলিয়ে রবিবার সরাটা দিন পূর্বস্থলীতে মানুষের যাবতীর আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে ছিল টগর ফুল গাছে জবা ফুল ফোটার ঘটনা ।
কৈবর্ত্য পাড়ার কয়েকজন বাসিন্দাকে বলতে শোনা যায়, মানত পূরণ হওয়ায় তাঁদের গ্রাম নিবাসী মহিষমর্দিনীর ভক্ত অয়ন প্রামাণিক শনিবার ৫ হাজার জনকে ভোগ প্রসাদ খাওয়ান । তারপর এদিন দেবী মহিষমর্দিনীর প্রতিষ্ঠিত বেদি থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে থাকা ঘোষ বাড়ির টগর ফুল গাছে জবা ফুল ফোটে । দেবীর কৃপা ছাড়া এমনটা হওয়া সম্ভব নয় বলে মহিষমর্দিনীর ভক্তরা দাবি করেন । এরপর
থেকে ওই জবা ফুলটিকে প্রণাম করার হিড়িক
পড়ে যায় ।
পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের কালনা মহকুমার
সদস্য তাপস কার্ফা যদিও স্পষ্ট জানিয়ে দেন
এই ঘটনায় অলৌকিকতার কিছু নেই । তিনি দাবি করেন, ‘টগর ফুলের গাছের ডালে জবা ফুলের গাছের ডাল দিয়ে নিশ্চই ’কলম’ বাঁধা হয়েছিল । তাই টগর ফলের গাছে জবা ফুল ফুটেছে । তা ছাড়া এমনটা হওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয় ।’।