প্রদীপ চট্টোপাধ্যার,বর্ধমান,২০ নভেম্বর : নাবালিকার বিয়ে আটকানোর জন্যে সর্বদা সতর্ক থাকতে হয় প্রশাসনকে । এবার ‘কোভিড পজিটিভ’ ধরা পড়া তরুণীর ‘লুকিয়ে’ বিয়ে দেওয়া আটকাতে রাতেই বিয়েবাড়ি ছুটে যেতে হল বিডিও ও বিএমওএইচ কে । এমনই ঘটনা নিয়ে শুক্রবার রাতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার বড়বেলুন গ্রামে । বিয়ে বন্ধ রাখার নির্দেশের কথা জানিয়ে দিয়ে তরুণীর বাড়ির সামনে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পাহারায় বসিয়ে রেখে তার পর সেখান থেকে ফেরেন প্রশাসনের কর্তারা । তবে শুধু বিয়ে বন্ধ করাই নয়, তুরুণীকে ১৫ দিন বাড়ি থেকে বেরুতেও নিষেধ করা হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে,স্নাতক উত্তীর্ণ বডবেলুন গ্রাম নিবাসী ওই তরুণীর সম্প্রতি ’কোভিড পজ়িটিভ’ ধরা পড়ে । তা সত্ত্বেও পরিবারের লোকজন তাঁর বিয়ের আয়োজন সেরে ফেলেন । এই খবর পাওয়ার পরেই ভাতার ব্লকের বিডিও অরুণ কুমার বিশ্বাস ও বিএমওএইচ সংঘমিত্রা ভৌমিক বৈঠকে বসেন। সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে তারজন্য তরুণীর বাড়ি গিয়ে তাঁদের বুঝিয়ে বিয়ে আটকাবেন বলে ওই বৈঠকেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন । এদিনই প্রশাসনের কাছে খবর পৌছায় মাটির দেওয়াল আর খড়ের চালার বাড়ির ভিতরেই জৌরকদমে চলছে কোভিড পজিটিভ ধরাপড়া তরুণীর বিয়ের শেষ মূহুর্তের প্রস্তুতি । এরপর আর দেরি না করে এদিন সন্ধ্যার পরেই তরুণীর বাড়িতে ছুটে গিয়ে বিডিও ও বিএমওএইচ বিয়ের আয়োজন বন্ধের নির্দেশের কথা পরিবারের লোকজনকে জানিয়ে দেন।
পেশায় গৃহশিক্ষক তরুণীর বাবা বিভাসরঞ্জন পাল জানিয়েছেন, আগামী রবিবার তাঁর মেয়ের বিয়ের দিন নির্দিষ্ট ছিল। তার আগেই মেয়ে করোনা আক্রান্ত বলে রিপোর্ট আসে । মেয়ের দু’টি টিকাই নেওয়া আছে। তাই অনেকে তাকে আশ্বস্ত করেন কোন উপসর্গ যেহেতু নেই তাই তাঁর মেয়ের বিয়ে দিতে কোন সমস্যা হবে না। সেই কারণে তিনিও আর পিছিয়ে আসেননি । প্রশাসনের নির্দেশের কথা শুনে তরুণীর মা চন্দনাদেবী এদিন আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন,’সব আয়োজন সরা হয়ে গিয়েছিল।এখন কি করব বুঝে উঠতে পারছি না ।’।