প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৯ নভেম্বর : আধার কার্ডে মায়ের প্রকৃত নামের পরিবর্তে লেখা রয়েছে অশ্লীল শব্দ।তার কারণে শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চোখের ছানি অপারেশনের জন্য ভর্তি হতে গিয়ে চরম হয়রানির শিকার হলেন এক বৃদ্ধ।পরে যদিও হাসপাতাল কর্মীরা বৃদ্ধ ফটিক পোড়েলের মা ও বাবার প্রকৃত নাম জেনে নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে নেন । বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ কালনা-২ ব্লক প্রশাসন । তাঁরা এমন আধার কার্ড তৈরিতে যারা যুক্ত তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,বছর ৭০ বয়সী ফটিক পোড়েলের বাড়ি কালনার অনুখাল পঞ্চায়েতের জয়পুর গ্রামে ।বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি চোখে আবছা দেখছিলেন । তাই চিকিৎসার জন্য স্ত্রী সুষমাদেবীর সঙ্গে ফটিকবাবু এদিন কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান।দু’চোখে ছানি পড়ায় ছানি অপারেশনের জন্য হাসপাতালের চিকিৎসক ফটিক বাবুকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কথা বলেন । আর ভর্তি হওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্মীদের হাতে সুষমাদেবী তাঁর স্বামীর আধার কার্ড সহ অন্য নথি তুলে দিতেই ঘটে চোখ কপালে ওঠে হাসপাতাল কর্মীদের ।তাঁরা দেখেন প্রৌঢ় ফটিকবাবুর মায়ের প্রকৃত নাম আধার কার্ডে লেখা নেই ।পরিবর্তে মায়ের নামের জায়গায় লেখা রয়েছে অশ্লীল শব্দ (গালিগালাজ)।এমনটা দেখার পর ফটিকবাবুকে কিভাবে হাসপাতাল ভর্তি করবেন তা নিয়ে দোটানায় পড়ে যান হাসপাতাল কর্মীরা। উচ্চ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ফটিকবাবুর বাবা ও মায়ের প্রকৃত নাম জেনে নিয়ে তার পর হাসপাতাল কর্মীরা ফটিকবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন। তবে আধার কার্ড তৈরির দায়িত্বে থাকা যে ব্যক্তিরা ফটিকবাবুর মায়ের নামের জায়গায় এমন অশ্লীল শব্ধ লিখে দিয়েছেন তার নিন্দা না করে পারেন নি হাসপাতাল কর্মীরা ।
সুষমাদেবী এদিন বলেন ,তাঁর বৃদ্ধ স্বামীর
আধার কার্ডে মায়ের নামের জায়গায় যে অশ্লীল শব্দ লেখা রয়েছে তা তিনিও মেনে নিতে পারেন নি । বিষয়টি নিয়ে বহুবার তিনি বিডিও অফিসে গিয়ে জানিয়ে ছিলেন । কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয় নি । তাই সবক্ষেত্রে তাঁর স্বামীকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । বিডিও দেবল কুমার উপাধ্যায় সব শুনে এদিন বলেন ,এমনটা হওয়ার কথা নয় । তবু কিভাবে এমনটা হল, কোন এজেন্সি ওই বৃদ্ধার আধার কার্ড করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে ।বৃদ্ধর আধার কার্ডে মায়ের নামের ত্রুটি সংশোধনের ব্যবস্থা করা বিষয়ে বিডিও আশ্বস্ত করেছেন ।।