দিব্যেন্দু রায়,পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়া,১৯ নভেম্বর : শেষ পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম এলাকা থেকে বুনো হাতির দলকে বাঁকুড়ায় পাঠাতে সক্ষম হল বনদপ্তরের কর্মী ও হুলাপার্টির দল । বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বনদপ্তরের কর্মী ও হুলাপার্টির দল যৌথভাবে হাতি তাড়ানোর অভিযান শুরু করে । শেষে রাত্রি প্রায় ১০ টা নাগাদ আউশগ্রাম সীমানা পার করিয়ে গলসির দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় হাতির দলটিকে । তারপর তাদের পারাজে দামোদর নদ পার করিয়ে সোনামুখীর জঙ্গলের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । জানা গেছে, বাঁকুড়ায় ঢুকেই শুক্রবার ভোর থেকে প্রায় ৬২ টি হাতির দল দাপিয়ে বেড়ালো পাত্রসায়ের এবং সোনামুখী এলাকার ধানজমিতে । এদিকে সবেমাত্র ধান পাকতে শুরু করেছে । ফলে বুনো হাতির কারনে বেশ কিছু কৃষককে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা ।
দিন ৭-৮ আগে বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রাম এলাকায় ঢুকে পড়ে ছোট বড় মিলিয়ে ৬৮ টি বুনো হাতির দল । আউশগ্রামের জামতাড়া জঙ্গলের আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিল ওই দলটি । ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয় বিস্তীর্ণ এলাকার ধানজমি । তারপর থেকে হাতির দলটিকে ফের বাঁকুড়ায় ফেরত পাঠানোর জন্য দিনরাত টানা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল বনকর্মীরা । কিন্তু তাদের আউশগ্রাম ছাড়া করা যায়নি । শেষে গত মঙ্গলবার পুরুলিয়া থেকে হুলাপার্টির ১৫ জনের একটি দলকে আউশগ্রামে আনা হয় । বনকর্মীদের সঙ্গে তারা হাতির দলকে সরানোর জন্য দফায় দফায় চেষ্টা চালাতে থাকে । শেষ পর্যন্ত তাঁরা বৃহস্পতিবার রাতে হাতির দলকে ফের বাঁকুড়ায় পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হন ।
এদিন ভোরে হাতির দলটি পারাজে দামোদর নদ পেরিয়ে পাত্রসায়ের থানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পতেশপুর,বারাসাত,কমলাশায়ের প্রভৃতি গ্রাম হয়ে সোনামুখীর জঙ্গলে প্রবেশ করে । এদিকে ইতিমধ্যেই চাষীদের জমির ধা ধান পেকেছে ৷ ঘরে তোলার সময় হয়ে গিয়েছে । এমতবস্থায় একসঙ্গে অতগুলো হাতি চাষের জমির ওপর দিয়ে পেড়িয়ে যাওয়ায় বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে । ফলে চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটছে ওই সমস্ত গ্রামের কৃষকদের ।।