প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১৮ নভেম্বর : বড়বাজারের ব্যবসায়ী সবসাচী মণ্ডলকেখুনের ঘটনায় জড়িত থাকায় অভিযোগে গ্রেপ্তার হল আরও দুই অভিযুক্ত।ধৃতদের নাম মেহেতাব আলম ও সাইডে আলম। দু’জনেরই বাড়ি কলকাতার লারকেলডাঙা এলাকায় । বিহারের রামপুর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার বিকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করে । পুলিশের দাবী রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে বেড়াতে আসা সব্যসাচী মণ্ডলকে খুনের ঘটনায় মেহেতাব ও সাইডেও সমানভাবে জড়িত ছিল ।অভিযুক্তদের দৃষ্টান্ত মূলক সাজার দাবি করেছে নিহতের পরিজনরা ।
এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান জানিয়েছেন, সব্যসাচী মণ্ডল খুনের ঘটনার পর থেকেই মেহেতাব আলম ও সাইডে আলম এলাকা ছাড়া হয়েযায়। সেই খবর গোপন সূত্রে পেয়ে পুলিশ তাঁদের ধরেছে। এসডিপিওর দাবী,“ধৃত দু’জনেই সব্যসাচীকে খুনে ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল ।’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , গত ২২ অক্টোবর
রায়নার পৈতৃক বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হন
ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডল। আততায়ীরা নৃশংস ভাবে কুপিয়ে ব্যবসায়ীকে খুন করে। এই খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে রায়না থানার পুলিশ কালাড়াঘাটের টোল ট্যাক্স অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে খুনের ঘটনার জড়িতদের বাইক ও চারচাকা গাড়ি চিহ্নিত করে । তারই মধ্যে নিহতর বাবা দেবকুমার মণ্ডল রায়না থানায় তাঁর ছোটভাই গৌরহরি, ভ্রাতৃবধূ ও দুই ভাইপো দীনবন্ধু ও সোমনাথের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ৬ জনের একটি দল দেরিয়াপুরের বাড়িতে এসে সব্যসাচীকে খুন করে পালিয়েছিল । এর পর পুলিশ একে একে সুপারি কিলার মহম্মদ জানেসর আলম ওরফে রিকি সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে । বুধবার বর্ধমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে নিহতের খুড়তুতো ভাই সোমনাথ । তাঁকে রায়না থানার পুলিশ নিয়েদের হেপাজতে নিয়েছে ।খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত চারচাকা গাড়ি ও বাইক পুলিশ ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে । এদিন বাকি দুই অভিযুক্তকেও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হল ।।