এইদিন ওয়েবডেস্ক,হরিশ্চন্দ্রপুর(মালদা),১৮নভেম্বর : কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ার অপরাধে এক গৃহবধুকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পাঁচলা গ্রামে । পুলিশ জানিয়েছে,মৃতার নাম নূরসেবা খাতুন(২৪) । মৃতার বাবা রেজাউল আলি এনিয়ে নূরসেবার স্বামী, শ্বশুর শাশুড়ি ভাসুর ও এক জায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন ৷ পুলিশ জানিয়েছে,অভিযুক্তরা পলাতক । তাদের সন্ধান চলছে ।
জানা গেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম-পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামে বাপের বাড়ি নূরসেবা খাতুনের । বছর চারেক আগে বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচলা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ে হয় । তাঁদের ২ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে ।
মৃতার বাবা রেজাউল আলির অভিযোগ, ‘নাতনির জন্মের পর থেকেই আমার মেয়ের উপরে অত্যাচার শুরু হয় । আমরা অনেকবার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে জামাই ও তার বাড়ির লোকজনদের বুঝিয়ে এসেছি । কিন্তু অত্যাচার কমেনি । মাস দুয়েক আগেও পাঁচলা গ্রামে আমাদের যেতে হয়েছিল ৷ তখন গিয়ে দেখি শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে গ্রামের রাস্তার ধারে একটা গাছে বেঁধে রেখেছে । মেয়েকে কুয়োর মধ্যে ফেলে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছিল ওরা ৷ কিন্তু আমরা ঠিক সময়ে সেখানে পৌঁছে যাওয়ায় সৌভাগ্যক্রমে আমার মেয়ের প্রাণ বাঁচে । আমরা মেয়ের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বুঝিয়ে সুঝিয়ে চলে আসি ।
তিনি বলেন, ‘তারপর সব ঠিকঠাকই চলছিল । কিন্তু বুধবার ফোনে খবর পাই আমার মেয়ে মারা গেছে । খবর পেতেই আমরা পাঁচলা গ্রামে ছুটে যাই ।সেখানে শ্বশুরবাড়ির একটা ঘরের মধ্যে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই । তখন জামাই ও তার বাড়ির লোকজন কেউই ছিল না । আমাদের সন্দেহ মেয়েকে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ।’পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারন জানা যাবে ।।