প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ নভেম্বর : ‘বড় দুঃখের রেল’ নামেই যাত্রী মহলে পরিচিত বাঁকুড়া দামোদর রিভার রেল । রেলের খাতায় ’বিডিআর’ নামে রয়েছে তার পরিচিতি । যাত্রীদের অভিযোগ, ’দুঃখ’ এখনও কাটেনি। তাই রাজ্যে ৩১ অক্টোবর থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়ে গেলেও থমকে থাকা ’বিডিআর’ লাইনে ট্রেনের চাকা ঘুরলো ১২ দিন বাদে’। তবে দুঃখ কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত শুক্রবার থেকে বিডিআর লাইনে ট্রেন চলায় খুুশি যাত্রী ও হকাররা ।
বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলার লাইফ লাইন
বাঁকুড়া দামোদর রিভার রেল (বিডিআর )। বাঁকড়া থেকে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার মসাগ্রাম পর্যন্ত এই রেল পথ সংযুক্ত হয়েছে অনেক বছর আগে। বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানের বহু মানুষ দক্ষিণ পূর্ব রেলের আদ্রা ডিভিশনের এই রেল পথে চলাচলকারী ট্রেনে চেপে যাতায়াত করেন । করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘ দিন এই রাজ্যে সমস্ত রেল পথে লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ ছিল ।করোনা সংক্রমণের প্রভাব শিথিল হওয়ায় ৩১ অক্টোবর থেকে এই রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালানোর ছাড়পত্র দেয় নবান্ন । ওই দিন থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে যায় লোকাল ট্রেন চলাচল ।শুধুমাত্র বিডিআর লাইনে ওই দিন থেকে ট্রেন চলে নি । তার জন্য এই রেল পথের যাত্রীদের যাত্রীদের দুঃখও কম ছিলনা। শেষপর্যন্ত ১২ দিন বাদে শুক্রবার থেকে ‘বিডিআর’ লাইনে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হওয়ায় খুশিতে ভাসলেন রেল যাত্রী ও হকাররা ।
বিডিআর রেল পথের যাত্রী পরিষেবা সমিতির সদস্য সুপ্রকাশ সামন্ত বলেন , ‘সব লাইনে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরে যাবার পরেও বিডিআর লাইনে ট্রেন না চলায় যাত্রীরা হতাশ হয়েছিলেন । দুঃখেও ছিলেন । তবে দেরিতে হলেই বাঁকাড়া -মসাগ্রাম লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রীদের পাশাপাশি তাঁরাও খুশি “।পূর্ব রেলের জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন ,“এই রেলপথে এখন আপাতত এক জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।সকাল ৮ – ৫ মিনিট ও দুপুর ২ টোয় মশাগ্রাম স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়বে ।’।