প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১২ নভেম্বর : সিআইডি দফতর থেকে অভিযোগ পেয়ে এক ভুয়ো ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করলো এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। ধৃতের নাম তরুণ মজুমদার ।তাঁর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের কালনায়।ডাক্তারি ডিগ্রী না থাকা সত্ত্বেও এই ব্যক্তি কালনার লিচুতলা এলাকায় রীতিমত চেম্বার খুলে দাঁত সহ বিভিন্ন রোগের ডাক্তারি করতেন বলে অভিযোগ ।শুক্রবার বেলায় সেই চেম্বারে হানা দিয়ে পূর্ব বর্ধমান জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ (ডিইবি)তাঁকে গ্রেপ্তার করে ।চেম্বারে থাকা বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের দাবি । এই ঘটনা জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে কালনার বাসিন্দা ও চিকিৎসক মহলে ।
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে জানা গিয়েছে,কোনও স্বীকৃত মেডিকেল কলেজ থেকে পাশ করা ডাক্তারি ডিগ্রী তরুণ মজুমদারের নেই । তবুও নিজেকে তিনি ডাক্তার বলে পরিচয় দিতেন । এমনকি কালনার লিচুতলা এলাকায় রীতিমত চেম্বার খুলে তিনি দাঁত সহ বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতার অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করতেন । ওষুধও লিখে দিতেন ।এছাড়াও বিজ্ঞাপন দিয়ে নেশাগ্রস্তদের নেশা ছাড়ানোর চিকিৎসা করার বিষয়টিও তিনি প্রচার করতেন ।সামাজিক মাধ্যমেও তিনি নেশা ছাড়ানোর চিকিৎসা করার কথা প্রচার করতেন । তাঁর দাঁতের ডাক্তারি করার ফিষয়টি নিয়ে বর্ধমান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনও সরব হয় । ডাক্তার না হয়েও তরুণ মজুমদারের ডাক্তারি কারার বিষয়ে রাজ্যের সিআইডি দফতরেও অভিযোগ পৌছায়।সিআইডি দফতর জেলার এনফোর্সমেন্ট কে সেই অভিযোগের বিষয়ে জানালে এনফোর্সমৈন্ট ব্রাঞ্চ এদিন ওই ভুয়ো ডাক্তারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় ।
ডিএসপি ডিইবি সমরেশ দে জানিয়েছেন,
সিআইডি দফতর থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর এদিন ভুয়ে ডাক্তার তরুণ মজুমদারের
লিচুতলার চেম্বারে অভিযান চালানো হয় ।
ওই ব্যক্তি ডাক্তারি ডিগ্রীর কোন নথি দেখাতে
পারন না । তার পরেই তরুণ মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয় ।এই ভুয়ো ডাক্তারের চেম্বার থেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ছাপানো প্রেসক্রিপশন প্যাড সহ দাঁতের চিকিৎসায় ব্যবহৃত বহু চিকিৎসা সরঞ্জাম পাওয়া গিয়েছে ।সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । ধৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ।