দিব্যেন্দু রায়,ভাতার(পূর্ব বর্ধমান),১২ নভেম্বর : শুক্রবার থেকে ভাতার কৃষিমাণ্ডিতে শুরু হয়েছে সহায়কমূল্যে ধান বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন ও টোকেন বিলির প্রক্রিয়া । আর প্রথম দিনেই হয়রানির অভিযোগ তুলে তুমুল বিক্ষোভ দেখালেন চাষীরা । বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায় । বন্ধ হয়ে যায় কাজকর্ম । যদিও শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের তরফ থেকে সকলকে রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
জানা গিয়েছে,ভাতার ব্লকে সহায়কমূল্যে ধান বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন ও টোকেন বিলির কেন্দ্রটি করা হয়েছে ভাতারে কৃষিমাণ্ডিতে । চাষীদের হয়রানি কম করতে ও কোভিড বিধির কারনে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে দেওয়া হয়েছে । এদিন ভাতার ব্লকের বামুনাড়া পঞ্চায়েত এলাকার কৃষকদের টোকেন বিলি করা হচ্ছিল ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,ধান বিক্রির জন্য রেজিস্ট্রেশন ও টোকেন সংগ্রহ করতে আগের দিন রাত থেকে কৃষিমাণ্ডিতে লাইন দিয়েছিলেন চাষীরা । এদিন দু-তিন’শ চাষী টোকেনের জন্য কৃষিমাণ্ডিতে এসেছিলেন । কিন্তু সকালে অফিস খোলার পর জানিয়ে দেওয়া হয় কেবল মাত্র ৫০ জন চাষীকেই রেজিস্ট্রেশনের পর টোকেন দেওয়া হবে । আর এই কথা শোনার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা চাষীরা । শুরু হয় বিক্ষোভ । বিক্ষোভের জেরে টোকেন বিলি ও রেজিস্ট্রেসন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় । শেষে দপ্তর থেকে আশ্বাস দেওয়া হয় সকল চাষীকেই রেজিস্ট্রেসনের সুযোগ দেওয়া হবে । কিন্তু দৈনিক মাত্র ৫০ জন চাষীকে টোকেন দেওয়া হবে । এরপর বিক্ষোভকারীরা শান্ত হন ।
মলয়কৃষ্ণ রায় নামে দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গাইডলাইন অনুযায়ী অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ ৫০ জন চাষীর রেজিস্ট্রেশন করার কথা প্রথমে বলা হয়েছিল । তবে এখন থেকে অফিস খোলা থাকা পর্যন্ত যিনিই আসবেন তাঁর রেজিষ্ট্রেশন করা হবে ।’।