প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়,বর্ধমান,১০ নভেম্বর : বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির অনুমতি প্রদান নিয়ে বর্ধমানে চরমে উঠেছে শাসক দলের দুই তরফের কাদা ছোড়াছুড়ি । এর নিস্পত্তির জন্য জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর দুই পক্ষকে নিজের দপ্তরে ডেকে নিয়ে বক্তব্য শোনেন । কিন্তু তার পরেও দু’পক্ষই অনড় মনোভাব দেখায়ে চলায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বিরোধ জিইয়ে রয়েছে । বর্ধমান পৌরসভার নির্বাচিত পৌরবোর্ডের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে ।তার পর থেকে প্রশাসক বোর্ড তিন বছর পৌর বোর্ড চালায় । পৌরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই সময়েই দু’দফায় ৮০০ আর ২,১০০ অর্থাৎ মোট ২,৯০০ বাংলা আবাস যোজনার বাড়ির অনুমোদন মেলে। নতুন পৌর প্রশাসক বোর্ড সেই ঘর প্রদানের বিষয়টি কার্যকর এখন করছে। আর তা নিয়েই বেঁধেছে
বিতর্ক । মূলত চারটি বাড়ি তৈরীর অনুমতিকে ঘিরেই পৌরসভার নতুন প্রশাসক মণ্ডলী ও প্রাক্তন কাউন্সিলর তথা বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন । এই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
মঙ্গলবার এই বিষয়ে জেলাশাসকের ডাকা বিশেষ বৈঠক যুযুধান দু’পক্ষই উপস্থিত হন। জানা গিয়েছে সেই বৈঠকে দু’পক্ষই নিজেদের মতামত প্রকাশ করেন। বিধায়ক খোকন দাসের অভিযোগ, ’বাংলা আবাস যোজনায় ২০১৮সালে তৎকালীন পৌর বোর্ড ৮০০ এবং পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে থাকা বোর্ড ২১০০ বাড়ি তৈরী অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে নতুন প্রশাসক মণ্ডলী প্রাক্তন পৌর কাউন্সিলরদের অন্ধকারে রেখে অনেক গরীব মানুষের পরিবর্তে দালান বাড়ি আছে এমন ব্যক্তিদের আবাস যোজনার বাড়ি তৈরী অনুমতি দিয়ে দিচ্ছে। তারই প্রতিবাদ তিনি করেছেন মাত্র। তিনি আরো জানান, জেলাশাসক বাড়ি প্রাপকদের নামের তালিকা ‘’কাউন্সিলর’ দের দিতে বলেছেন। সেই তালিকা পাওয়া গেলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে । যদি সবাই বাড়ি পায় তো ভাল কথা।আর যদি পাকাবাড়ির মালিক বাড়ি পেল আর গরিবরা বঞ্চিত হল তবে তা মানা দায় ।
যদিও পৌর প্রশাসক প্রণব চ্যাট্টোপাধ্যায় সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সব তথ্য জেলাশাসককে দেখানো হয়েছে।আগের কাজকর্মেরও সব রেকর্ড আছে।তিনি আরো বলেন; চারটি বাড়ির ব্যাপারে অভিযোগ আসার পর তারা খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গড়েছিলেন। সেই কমিটিতে পুরসভার কর্মী বিধায়কের ভাইপোও ছিলেন। তারা কোনো গড়মিল পান নি। তিনি জানান; এই বৈঠক ছিল ‘ ইনফর্মাল’। জেলাশাসক ডেকেছিলেন। তাই এসেছিলেন। তিনি ঈঙ্গিত দেন নতুন প্রশাসকমন্ডলী আইন মেনেই সব কাজ করছে।সবাই ঘর পাবেন।।