এইদিন ওয়েবডেস্ক,কাটোয়া(পূর্ব বর্ধমান),০৮ নভেম্বর : পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের এক রোগীনির শ্লীলতাহানির অভিযোগে হাসপাতালের এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ । ধৃতের নাম দেবু কুণ্ডু । তাঁর বাড়ি কাটোয়া শহরের কবিরাজপাড়ায় । যদিও কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার ধীরাজ রায়ের দাবি, ‘অভিযুক্তর হাসপাতালের রেকর্ডে কোনও নাম নেই । ওই ব্যক্তি আমাদের হাসপাতালের কর্মীই নয় ।’ তবে হাসপাতাল সুপার দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ধৃত ব্যক্তি হাসপাতালে অস্থায়ী সাফাই কর্মী হিসাবে কাজ করেন । রোগীর বিছানার চাদর বদলানো,রোগীকে স্ট্রেচারে চাপিয়ে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে রোগীদের ব্যাণ্ডেজ পর্যন্ত করেও দিতে দেখা গেছে । এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সুপার বলেন, ‘ওই ব্যক্তি হাসপাতালে কিভাবে এই সমস্ত কাজ করে যাচ্ছিলেন তা খতিয়ে দেখা হবে ।’
জানা গেছে,অভিযোগকারিনীর বাড়ি কেতুগ্রাম থানা এলাকায় । রবিবার সকালে শ্বাসকষ্ট ও সর্দিকাশির সমস্যার কারনে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন । রোগীনির দেখভালের জন্য তাঁর মা ওয়ার্ডে ছিলেন । রাতের দিকে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে । রোগীনির অভিযোগ, রাতে খাওয়া দাওয়ার পর তাঁর মা যখন বাসনপত্র ধুতে গিয়েছিল সেই সময় ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে দেবু কুণ্ডু নামে ওই ব্যক্তি । তারপর দেবু তার গোপন অঙ্গে হাত দেয় । নোংরা ভাষায় কথাবার্তাও বলতে শুরু করে । ইতিমধ্যে তাঁর মা চলে এলে সে পালিয়ে যায় ।
জানা গেছে,ওই রোগীনি তাঁর মায়ের কাছে ঘটনার কথা খুলে বলেন । সোমবার তিনি এনিয়ে প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পরে কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন । পরে হাসপাতাল চত্বর থেকেই দেবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে এই ঘটনার কথা চাওড় হতে হাসপাতালের রোগীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে । রোগীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসাধীন রোগীর পরিবার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয়দের পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা করে দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কাটোয়ার বিধায়ক তথা হাসপাতালের রোগীকল্যান সমিতির চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও ।।